ডিসি সম্মেলন শুরু মঙ্গলবার

তিন দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন শুরু হচ্ছে মঙ্গলবার। এতে ১৮টি কার্য-অধিবেশনে ৩৪৭টি প্রস্তাবের উপর আলোচনা হবে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 July 2018, 11:43 AM
Updated : 23 July 2018, 11:43 AM

মঙ্গলবার সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন; সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে হবে বিভিন্ন অধিবেশন।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) এন এম জিয়াউল আলম সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সামনে এবারের ডিসি সম্মেলনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

প্রতি বছর এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে দেশের ৬৪ জেলার ডিসিদের সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময় করে প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দিয়ে থাকেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের নীতি-নির্ধারকরা।

এবার ডিসি সম্মেলনে ২২টি অধিবেশন হবে জানিয়ে সচিব জিয়াউল বলেন, এর মধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে কার্য-অধিবেশন ১৮টি, যেগুলোতে সভাপতিত্ব করবেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।

“সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ ৫২টি মন্ত্রণালয়-বিভাগ অংশ নেবে। কার্য-অধিবেশনগুলোতে মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিনিধি হিসেবে মন্ত্রী, উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, জ্যেষ্ঠ সচিব ও সচিবরা উপস্থিত থাকবেন।”

জিয়াউল জানান, ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনারদের কাছ থেকে ডিসি সম্মেলনে আলোচনার জন্য ৩৪৭টি প্রস্তাব পাওয়া গেছে। এর বাইরেও জেলা প্রশাসকদের তাৎক্ষণিক কোনো প্রস্তাব থাকলে তাও অধিবেশনে উপস্থাপিত হবে।

“এ বছর সবচেয়ে বেশি সংখ্যক প্রস্তাব পাওয়া গেছে ভূমি মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত। এরপর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় সরকার বিভাগ সংক্রান্ত প্রস্তাব বেশি পাওয়া গেছে।”

ভূমি ব্যবস্থাপনা, আইনশৃঙ্খলা, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, ত্রাণ পুনর্বাসন কার্যক্রম, স্থানীয় পর্যায়ে কর্মসৃজন, দারিদ্র বিমোচন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কার্যক্রম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার, শিক্ষার মান উন্নয়ন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণরোধ, ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন এবং উন্নয়ন কার্যক্রমের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও সমন্বয় নিয়ে ডিসি সম্মেলনে আলোচনা হবে বলে জানান সচিব জিয়াউল।

সব থেকে বেশি ভূমি সংক্রান্ত প্রস্তাব পাওয়া নিয়ে এক প্রশ্নে জিয়াউল বলেন, প্রতিবার ভূমি নিয়েই বেশি প্রস্তাব আসে, এই সমস্যা সমাধানের জন্য কিছু কাজও হাতে নেওয়া হয়েছে।

“বিশেষ করে ভূমি ব্যবস্থাপনা ডিজিটাইজেশনের কাজ হচ্ছে। ভূমি রেজিস্ট্রেশন, সেটেলমেন্টও ডিজিটাইজ করা হচ্ছে। এগুলো হয়ে গেলে ভূমি সংক্রান্ত মামলা কমে যাবে। তখন প্রস্তাবের সংখ্যাও কমে যেতে পারে।”

মাদক নিয়ে ডিসিরা কিছু প্রস্তাব রেখেছেন জানালেও এনিয়ে সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত বিস্তারিত কোনো তথ্য জানাননি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব।

তিনি বলেন, “আমরা আশা করছি এই সম্মেলনের মাধ্যমে সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমের সঙ্গে জেলা প্রশাসকরা পরিচিত হবেন। এই সকল উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নে সরকারের দিক নির্দেশনা সরাসরি এখান থেকে গ্রহণ করতে পারবেন।

“সরকারের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে যে নতুন নতুন নীতি-কৌশল বা নীতিমালা জারি হয়েছে সেই বিষয়ে জেলা প্রশাসকরা সম্যক ধারণা লাভ করতে পারবেন।”

বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন জেলা প্রশাসকরা।

২৬ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে হবে ডিসি সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশন।

গত বছর ডিসি সম্মেলনে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে ৯৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ বাস্তবায়িত হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব।