সোমবার জাদুঘর মিলনায়তনে অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন হবে।
১৯২৫ সালের ২৩ জুলাই গাজীপুরের কাপাসিয়া থানার শীতলক্ষ্যা নদীর তীরবর্তী দরদরিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তাজউদ্দীন আহমদ।
ছাত্রজীবনেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন তিনি। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর থেকে এদেশে ভাষার অধিকার, অর্থনৈতিক মুক্তি এবং সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী যত আন্দোলন হয়েছে তার প্রতিটিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি।
আওয়ামী লীগের গঠন প্রক্রিয়ার উদ্যোক্তাদের অন্যতম একজন তাজউদ্দীন আহমদ ১৯৬৬ সালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠন করে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে সফল ভূমিকা পালন করেন তিনি।
স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তাজউদ্দীন আহমদ। এরপর বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন সরকারে অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রীর দায়িত্ব নেন তিনি।
পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ১৯৭৪ সালের ২৬ অক্টোবর তিনি মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর তাজউদ্দীন আহমদকেও গৃহবন্দি করা হয়। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর তাকে এবং আরও তিন জাতীয় নেতাকে জেলখানায় হত্যাকাণ্ডের শিকার হন।