রোববার খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের হাই কোর্ট বেঞ্চ বিষয়টি সোমবার আদেশের জন্য রাখে।
খালেদার পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। খালেদার অপর আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, এ কে এম এহসানুর রহমান ও মাসুদ রানাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
আইনজীবী এহসানুর রহমান পরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিএনপি চেয়ারপারসনকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর পাশাপাশি তার জামিন চেয়ে গত ১ জুলাই কুমিল্লার দায়রা জজ ও বিশেষ ট্রাইব্যুনালে আবেদন করা হয়।
ওই দিন বিশেষ আদালতের বিচারক কে এম শামছুল আলম বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার দেখালেও তার জামিনের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না দিয়ে ৮ অগাস্ট শুনানির জন্য রেখে দেন।
“এ অবস্থায় গত ১১ জুলাই হাই কোর্টে ফৌজদারী আপিল করে তার জামিন আবেদন করা হয়। আজ সে আবেদনের শুনানি শেষে আদালত আগামীকাল আদেশের জন্য রেখেছে।”
বিএনপির টানা অবরোধ-হরতালের মধ্যে ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের জগমোহনপুর এলাকায় একটি নৈশকোচে পেট্রোল বোমা হামলায় আট যাত্রীর মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে হত্যা ও বিস্ফোরক মামলা করে পুলিশ।
পরে পুলিশের আবেদনে বিস্ফোরক আইনের মামলাটি বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় রূপান্তর করা হয়।
এহসানুর রহমান বলেন, “মামলাটি বাতিল চেয়ে গত ২৮ মে হাই কোর্টে আবেদন করা হয়েছে। আবেদনটি শুনানির অপেক্ষায় আছে।”