ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আকবর হোসেনকে হলের আবাসিক শিক্ষকের দায়িত্ব থেকেও প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের সদস্য আকবর হোসেনের বিরুদ্ধে ‘দেশবিরোধী চক্রান্তের’ অভিযোগ এনেছে ছাত্রলীগ।
সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার সহযোগী অধ্যাপক মো. আবু তাহের।
অভিযোগ পেয়ে গত রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম হলের আবাসিক শিক্ষকের দায়িত্ব থেকে আকবর হোসেনকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন ড. জি এম মনিরুজ্জামানকে আহ্বায়ক ও প্রক্টর কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিনকে সদস্য সচিব করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। কমিটিতে ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও কাজী নজরুল ইসলাম হলের প্রভোস্টকে সদস্য করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, “এখনও আমরা কোনো সভায় বসিনি। তাই তদন্তের বিষয়ে এই মুহুর্তে বেশি কিছু বলা যাচ্ছে না।”
প্রশাসনের পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় আকবর হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এই তুচ্ছ ও হাস্যকর অভিযোগ আমলে নিয়ে প্রশাসন যে আমাকে হল থেকে অব্যাহতি দিল, তা আমাকে বিস্মিত এবং হতবাক করেছে।”
তিনি বলেন, “আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ যে আমি নাকি ‘দেশবিরোধী চক্রান্তে' লিপ্ত। কোটা আন্দোলন নিয়ে কথা বলাটা কি দেশবিরোধিতা? আমাদের মাননীয় উপাচার্য মহোদয়ও শুরুর দিকে কোটা আন্দোলনের সাথে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দিয়েছেন।”
বঙ্গবন্ধু পরিষদের একজন সদস্য হয়েও এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভোগার কথাও জানান তিনি।