দুদকের উপ-পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা এবং সহকারী পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানের সমন্বয়ে একটি দল বৃহস্পতিবার এসব হজ এজেন্সিতে অভিযান চালায়।
কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা (উপ-পরিচালক) প্রনব কুমার ভট্টাচায্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দুদকের হটলাইনে (১০৬) আসা এ সংক্রান্ত অভিযোগের ভিত্তিতে নয়াপল্টনের কাজী টাওয়ারের ‘কাজী এয়ার ইন্টারন্যাশনাল’ ও ‘কাজী ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস’ এ অভিযান চালানো হয়।
তিনি জানান, দুদক দল কাজী এয়ার ইন্টারন্যাশনালে অভিযানে গিয়ে জানতে পারেন, এই হজ এজেন্সিতে প্রকৃত হজযাত্রীর সংখ্যার সমর্থনে কোনো ‘কাগজপত্র নেই’।
“যদিও নিবন্ধিত প্রতিটি হজ এজেন্সির কমপক্ষে ১৫০ জন হজযাত্রী পাঠানোর বাধ্যবাধকতা রয়েছে, সেখানে এ প্রতিষ্ঠানটি মাত্র ৭৫ জন হজযাত্রী পাঠানোর ব্যবস্থা করতে পেরেছে।”
এছাড়া ‘কাজী এয়ার ইন্টারন্যাশনালে‘সৌদি আরবে হজযাত্রীদের বাড়ি ভাড়া, মুয়াল্লাম ফি ও অন্যান্য রশিদপত্র পাওয়া যায়নি বলে জানান প্রনব।
তিনি বলেন, “এত বড় অঙ্কের রাজস্ব ফাঁকির ঘটনার পরও কীভাবে এ এজেন্সি অনুমোদন পেল, তা রীতিমত বিস্ময়কর।”
প্রনব কুমার বলেন, এই অভিযান দলের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন পাওয়ার পর ওই সব অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন।
এই বিষয়ে অভিযানের সমন্বয়কারী দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হজকেন্দ্রিক দুর্নীতির সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া এবং অব্যাহত অভিযানের মাধ্যমে দুর্নীতির বিরুদ্ধে হজযাত্রীদের সচেতন করে তোলা।”
দুদকের দুই কর্মকর্তার নেতৃত্বে পুলিশসহ নয় সদস্যের দল এ অভিযান চালিয়েছেন।
এ সময় দুদকের পক্ষ থেকে উপস্থিত হজযাত্রীসহ সবার মাঝে দুর্নীতিবিরোধী প্রচারপত্র ও দুদক হটলাইন (১০৬) এর স্টিকার বিতরণ করা হয়।
এর আগে গত ২, ৪, ৯ ও ১৫ জুলাই রাজধানীর বিভিন্ন হজ এজেন্সিতে অভিযান চালিয়েছে দুদক।