সব শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বৃহস্পতিবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলাফলের সারসংক্ষেপ হস্তান্তর করেন।
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় এবার ৬৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে, জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৯ হাজার ২৬২ জন।
এ পরীক্ষায় গত বছর ৭২টি প্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষার্থী ফেল করে। সেই হিসেবে এবার শতভাগ ফেলের প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কমেছে ১৭টি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, শূন্য পাস করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা এবার কমেছে।”
এবার দিনাজপুর বোর্ডের ১২টি, ঢাকা ও রাজশাহী বোর্ডের ছয়টি করে, যশোর বোর্ডের চারটি; কুমিল্লা, বরিশাল ও সিলেট বোর্ডের দুটি করে এবং চট্টগ্রাম বোর্ডের একটি প্রতিষ্ঠানের সব পরীক্ষার্থী ফেল করেছে।
মাদ্রাসা বোর্ডের ১৩টি এবং কারিগরি বোর্ডের সাতটি প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থী এবার পাস করতে পারেনি।
অন্যদিকে ৪০০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সব পরীক্ষার্থী এ বছর উচ্চ মাধ্যমিকে পাস করেছেন, গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৫৩২টি। এ হিসেবে এবার শতাভাগ শিক্ষার্থী পাসের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১৩২টি কমেছে।
ঢাকা বোর্ডে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে এমন প্রতিষ্ঠান ৩৯টি। এছাড়া রাজশাহী বোর্ডে ১৯টি, কুমিল্লা ও দিনাজপুরে ১৪টি করে, সিলেটে ১০টি, যশোরে ছয়টি এবং চট্টগ্রাম ও বরিশাল পাঁচটি করে প্রতিষ্ঠানের সবাই পাস করেছে।
মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবার ২৮৮টি প্রতিষ্ঠানের শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে। আর কারিগরি বোর্ডে শতভাগ পরীক্ষার্থী পাস করা কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠা নেই।