কুড়িগ্রামের উপ-নির্বাচন স্থগিত চেয়ে রিট

সীমানা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে কুড়িগ্রাম-৩ আসনের উপ-নির্বাচন স্থগিত চেয়ে হাই কোর্টে রিট আবেদন করেছেন কুড়িগ্রাম-৪ আসনের এক বাসিন্দা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 July 2018, 01:02 PM
Updated : 18 July 2018, 01:02 PM

রিটকারীর আইনজীবী শেখ মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, বৃহস্পতিবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাই কোর্ট বেঞ্চে ওই আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।

সাংবাদিকদের তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন গত ৩০ এপ্রিল সীমানা নির্ধারণ সংক্রান্ত একটি গেজেট প্রকাশ করে। ওই গেজেটে চিলমারী উপজেলার চিলমারী, রমনা, রানীগঞ্জ ও থানাহাট ইউনিয়নকে কুড়িগ্রাম-৪ আসনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

এদিকে গত ১১ মে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য এ কে এম মাইদুল ইসলামের মৃত্যুতে কড়িগ্রাম-৩ আসেন শূন্য হয়। নির্বাচন কমিশন গত ১০ জুন ওই আসনে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে।

রংপুরের আঞ্চলিক নির্বাচন ও রিটার্নিং কর্মকর্তা জি এম সাহাতাব উদ্দিন তফসিলের দিনই কুড়িগ্রাম-৩ আসনে উপ নির্বাচনের জন্য একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেন। সেখানে বলা হয়, আগ্রহীরা ২৪ জুন পর্যন্ত মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পারবেন এবং ২৬ জুন বাছাই শেষে ৩ জুলাইয়ের মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে। ভোট হবে ২৫ জুলাই।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম রাকিব পরদিন সাংবাদিকদের বলেন, কুড়িগ্রাম-৩ সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাস করা হলেও উপ-নির্বাচন হবে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সীমানা অনুযায়ী।

আইনজীবী শেখ মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, রিট আবেদনকারী এস এম মোস্তাফিজুর রহমান রমনা ইউনিয়নের বাসিন্দা। ৩০ এপ্রিলের গেজেট অনুযায়ী তিনি কুড়িগ্রাম-৪ এর বাসিন্দা হলেও এ নির্বাচনে তাকে ভোট দিতে বলা হয়েছে কুড়িগ্রাম-৩ এ।

“এ কারণে তিনি ৩০ এপ্রিলের গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেছেন। রিটে নির্বাচন স্থগিত চাওয়া হয়েছে। ২৫ জুলাই নির্বাচন। যদি এর মধ্যে সব ঠিক করা হয়, তাহলে ২৫ তারিখ নির্বাচন হতে বাধা থাকবে না।”

আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে এমএ মতিন এবং জাতীয় পার্টির ডা. আক্কাছ আলী এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।