মঙ্গলবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যেমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে ভাতা প্রদান কার্যক্রম চালু হবার ফলে এখন থেকে কোন মধ্যস্বত্বভোগী কারো কাছ থেকে কমিশন নিতে পারবে না, কারণ ভাতাভোগীর টাকা তার নিজের অ্যাকাউন্টেই যাবে।”
তবে সক্ষম উপকারভোগীরা যেন সরকারি সহায়তার পাশাপাশি কাজকর্মে নিয়োজিত থাকেন সেবিষয়ে জোর দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন,“সেই সাথে আরেকটি কথা আমি বলতে চাই। আমরা যেটা দিচ্ছি; সেটা কেউ যেন না খেয়ে কষ্ট না পায় সেজন্য। কিন্তু, মানুষ যেনো কর্মবিমুখ না হয়।
“যারা ভাতা পাচ্ছেন; তাদের নিজের কাজ করে নিজের উপার্জন করতে হবে। আমরা এমন পরিমাণ ভাতা দেব; যেটা দিয়ে আপনারা আপনাদের খাদ্যের ব্যবস্থা করতে পারবেন। কিন্তু, সাথে সাথে আপনাকে নিজেকে কাজও করতে হবে।”
শেখ হাসিনা বলেন, জনগণ চাইলে আগামীতে তার দল আবারও ক্ষমতায় আসবে, তবে বিভিন্ন প্রকার ভাতা, স্বাস্থ্য সেবা, আশ্রয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে গৃহহীনদের ঘরবাড়ি করে দেওয়াসহ জনকল্যাণমূলক কাজগুলো চালিয়ে নেওয়াই তার সরকারের লক্ষ্য।
প্রথম পর্যায়ে মঙ্গলবার থেকে এক লাখ ১৫ হাজার উপকারভোগী তাদের গত এপ্রিল-জুন সময়কালের ভাতাসমূহ ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে সরাসরি তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাবেন।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, চলতি অর্থ বছরে আরো ১০টি জেলার উপকারভোগীদের মধ্যে ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার পদ্ধতিতে ভাতা বিতরণ কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা হবে।
পরবর্তীতে সরাসরি ভাতাপ্রাপ্ত উপকারভোগীর সংখ্যা ৬৬ লাখে উন্নীত হবে বলে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান।
সমাজ কল্যাণ মন্ত্রাণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ডাক্তার মোজাম্মেল হক, অর্থ প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান, সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী নরুজ্জামান আহমেদ এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় গণভবনে উপস্থিত ছিলেন।