ঢাকার হোটেলে তরুণীর লাশ

ঢাকার মগবাজারের একটি হোটেলে এক তরুণীর লাশ পাওয়া গেছে: ওই তরুণী তার ভগ্নিপতির সঙ্গে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ওই হোটেলে উঠেছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

সোমবার দুপুরে বৈকালী আবাসিক হোটেল থেকে বৃষ্টি (১৬) নামে ওই তরুণীর মৃতদেহ পুলিশ উদ্ধার করে বলে রমনা থানার উপ পরিদর্শক দীপঙ্কর চন্দ্র বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, বৃষ্টি তার সেজ দুলাভাই সুমন রানার সঙ্গে সকালে হোটেলে উঠেছিলেন। দুপুরে শ্যালিকার মৃত্যুর খবর ফোনে স্ত্রীকে জানিয়ে আত্মগোপনে চলে যান সুমন।

পুলিশ সুমনকে খুঁজছে বলে জানিয়েছেন এসআই দীপঙ্কর।

সুমন একজন গাড়িচালক। মহাখালী সাততলা বস্তিতে স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন তিনি। একই এলাকায় তার শ্বশুরের পরিবারও থাকেন। বৃষ্টি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।

দীপঙ্কর চন্দ্র বলেন, “বৃষ্টির সাথে সুমনের অনৈতিক সম্পর্কের কথা পরিবারের লোকজন কমবেশি জানত।”

সকালে হোটেলে ওঠার পর সুমন বেরিয়ে গিয়েছিলেন। দুপুরে হোটেলের এক কর্মচারী গিয়ে বিছানায় বৃষ্টিকে পড়ে থাকতে দেখন। এরপর খবর পেয়ে পুলিশ যায়।

পুলিশ কর্মকর্তা দীপঙ্কর বলেন, “ঘরে নাস্তা ছিল, কিন্তু কেউ খায়নি। তাছাড়া সিলিংয়ে ওড়নার একটি অংশ পাওয়া যায়। পানির বোতল ছিল ছড়ানো-ছিটানো, বিছানা ছিল ভেজা।

“ধারণা করা হচ্ছে নাস্তার আনার পর কক্ষে ঢুকে বৃষ্টিকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে তাকে বাঁচাতে ওড়না কেটে বা ছিড়ে বৃষ্টিকে বিছানায় নামায় সুমন এবং মাথায় পানি দিয়ে বাঁচানোর চেষ্টা করে। পরে না পেরে পালিয়ে যায়।”

সুমনের ফোন পেয়েই বৃষ্টির পরিবারে সদস্যরা হোটেলে গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন।