ঢাকা মহানগর পুলিশের ওয়ারী বিভাগের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, উত্তরার কামারপাড়া ও টঙ্গী থেকে ওই পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেন তারা।
গ্রেপ্তার পাঁচজন হলেন- সবুজ (৪২), বশির (৩০), ফারুক (৩৬), লাভলু (৪০) ও জালাল মিয়া (৩৬)।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ১২ জুলাই শাহ সিমেন্টের সেলস রিপ্রেজেনটেটিভ আব্দুল হক রাজকে (৬১) অপহরণের অভিযোগে গেণ্ডারিয়া থানায় একটি মামলা হয়।
উপ-কমিশনার ফরিদ বলেন, “ওই বাসায় আগে থেকে অবস্থান নিয়ে থাকা আসামিরা ভিকটিম রাজকে আটকে রেখে মারধর করে এবং মুক্তিপণ হিসেবে দুই লাখ টাকা বিকাশের মাধ্যমে পাঠাতে চাপ দেয়।”
মামলা হওয়ার পর পুলিশ এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করে এবং রোববার রাত ৯টার দিকে তুরাগ থানাধীন কামার জালাল মিয়ার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে রাজকে উদ্ধার করে। তখনই বশির, ফারুক ও জালালকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা ফরিদ।
পরে জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার তিনজনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী টঙ্গী থেকে সবুজ ও লাভলুকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান তিনি।
আশা নামের ওই নারী রাজের পূর্ব পরিচিত কিনা জানতে চাইলে ফরিদ উদ্দিন বলেন, “রাজ তা স্বীকার করছেন না। আশাকে গ্রেপ্তার করতে পারলে সবকিছু জানা যাবে।”