রোববার রাজধানীর পল্টনের মুক্তিভবনে এক আলোচনা সভায় এসব সুপারিশ তুলে ধরা হয়।
সংগঠনের সভাপতি হাজী মোহাম্মদ শহীদ মিয়া বলেন, “দীর্ঘদিন ধরেই নৌ পরিবহন ব্যবস্থার নানা খাতে দুর্নীতি চলছে। যেমন নকশা অনুমোদনের বিষয়ে দেখা যায়-গুণগত মান যা ই হোক না কেন মোটা অংকের টাকা ছাড়া কোনো নকশাই অনুমোদন পায় না। গত বছর নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীকে তার কার্যালয় থেকে ঘুষের টাকাসহ গ্রেপ্তারের আট মাসের মাথায় রাজধানীর একটি হোটেল থেকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলীকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় বিষয়টি দিবালোকের মত স্বচ্ছ যে, ঘুষ ছাড়া সেখানে নৌযান নকশার অনুমোদন হয় না।”
এই প্রেক্ষাপটে নৌ নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থা নৌ পরিবহন অধিদপ্তরকে বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখার স্বার্থে কিছু প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় কমিটি। সেগুলো হল-
# নৌযানের নকশা অনুমোদনের দায়িত্ব নৌ পরিবহন অধিদপ্তর থেকে প্রত্যাহার করে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম মেরিন একাডেমির বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে কমিটি করে তাদের দিয়ে নকশা অনুমোদনের ব্যবস্থা।
# নৌযানের ফিটনেস পরীক্ষা ও নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিতের জন্য নৌ পরিবহন অধিদপ্তরে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিপ সার্ভেয়ার নিয়োগ।
# মাস্টারশিপ-ড্রাইভারশিপ পরীক্ষার জন্য সম্পূর্ণ স্বাধীন বোর্ড গঠন।
# অবিলম্বে নৌ আদালতে সরকারি আইনজীবী নিয়োগ ও নৌ অধিদপ্তরের আইন কর্মকর্তাকে মামলা পরিচালনার কার্যক্রম থেকে প্রত্যাহার।
# নৌ দুর্ঘটনা তদন্ত ও দুর্ঘটনা রোধে প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রণয়নের জন্য অভিজ্ঞ নৌ প্রকৌশলী, নৌস্থপতি, মাস্টার মেরিনার, পানিসম্পদ বিশেষজ্ঞ, নৌ পরিবহন বিষয়ক গবেষক, সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধি, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং নৌযান মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে জাতীয় তদন্ত কমিশন গঠন।
সভায় অন্যদের উপস্থিত ছিলেন গণতন্ত্রী পার্টি ও সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুর রহমান সেলিম, বুয়েটের নৌযান ও নৌযন্ত্র কৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান মীর তারিক আলী, নিরাপদ নৌপথ বাস্তবায়ন আন্দোলনের সদস্য সচিব আমিনুর রসুল বাবুল, কেন্দ্রীয় খেলাঘরের সাধারণ সম্পাদক তাহমীন সুলতানা স্বাতী ও অন্যান্য বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।