ট্রাভেল এজেন্সিতে দুদকের অভিযান, হজযাত্রী পাঠানোয় ‘অনিয়ম’

রাজধানীর ফকিরাপুলের জি-নেট টাওয়ারের আটটি ট্রাভেল এজেন্সিতে অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু অনিয়ম পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক।)

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 July 2018, 06:04 PM
Updated : 15 July 2018, 06:04 PM

রোববার দুদকের উপ-পরিচালক মাহমুদ হাসানের নেতৃত্বে একটি দল এ অভিযানে এসব এজেন্সির বিরুদ্ধে ‘সাবকন্ট্রাক্টে’ হজ যাত্রী পাঠানোর প্রমাণ পেয়েছে বলে কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বেশ কিছু হজ এজেন্সির বিরুদ্ধে হজযাত্রীদের সঙ্গে প্রতারণা, দুর্নীতি ও মানবপাচার সংক্রান্ত অভিযোগের ভিত্তিতে আকস্মিক এ অভিযান চালানো হয়।

“দুদকের অভিযান দল জানতে পারে, ‘খান জাহান আলী হজ ট্যুর ও ট্রাভেলস’ সরকারের কালো তালিকাভুক্ত হওয়ায় ‘আল-মদিনা ট্রাভেলস’র নামে হাজী পাঠাচ্ছে।

“এছাড়া ‘জামালপুর ট্যুর ও ট্রাভেলস’ নিজেদের প্রয়োজনীয় সংখ্যক হজযাত্রী না পেয়ে ‘মিনার ট্রাভেলসকে’ তাদের যাত্রী পাঠানোর দায়িত্ব দিয়েছে। ‘কিং এয়ার ইন্টারন্যাশনালে’ বড় অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া যায়। এই হজ এজেন্টটি নিবন্ধন করেও হাজী না পাঠিয়ে অন্য আরেকটি প্রতিষ্ঠান ‘নীলসাগর ট্রাভেল এজেন্সিকে’ হাজী পাঠানোর সুযোগ দিয়েছে। কিন্তু ‘নীল সাগর ট্রাভেল এজেন্সির’ কোনো হজ লাইসেন্স নেই বলে দুদকের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে।”

এছাড়া দুদক দল ‘এয়ার কনফিডেন্স’, ‘নিটলাইন হাজারী হজ ট্যুর’ ও ‘কেবি এয়ার ইন্টারন্যাশনাল’ হজ এজেন্সিতে অভিযান চালিয়ে হয়রানি ছাড়া যাত্রীসেবা প্রদানের নির্দেশ দিয়েছে বলে জানান প্রণব।

এ অভিযানের সমন্বয়কারী দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, “হজ নিয়ে দুর্নীতি বা প্রতারণা বন্ধে অভিযান অব্যাহত থাকেবে। কোনো এজেন্সির বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এর আগে গত ২, ৪ ও ৯ জুলাই যথাক্রমে রাজধানীর পুরানা পল্টন, নয়াপল্টন ও ফকিরাপুলের হজ এজেন্সিগুলোতে অভিযান চালায় দুদক।