রংপুর মেডিকেলের সাড়ে ৮ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় পাঁচ চিকিৎসক

ওষুধসহ হাসপাতালের বিভিন্ন খাতে ক্রয় দেখিয়ে সাড়ে আট কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক-পাঁচ চিকিৎসকসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 July 2018, 04:36 PM
Updated : 15 July 2018, 04:36 PM

শনিবার রংপুর সদর থানায় দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সিরাজুল হক বাদী হয়ে মামলাটি করেন বলে কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন।

আসামিরা হলেন- রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক পরিচালক ডা. আ স ম বরকত উল্লাহ, সহকারী পরিচালক (অর্থ ও ভাণ্ডার) ডা. মো. শফিকুল ইসলাম, সাবেক সহকারী পরিচালক ডা. বিমল কুমার বর্মণ, সাবেক উপ-পরিচালক ডা. পরিতোষ কুমার দাস গুপ্ত ও সাবেক উপ-পরিচালক ডা. মো. জহিরুল হক।

এদের সঙ্গে হাসপাতালের প্রধান মেডিসিন স্টোরের ইনচার্জ ফার্মাসিস্ট মো. আনিছুর রহমান, ফার্মাসিস্ট মো. মোকছেদুল হক, স্টুয়ার্ড মো. আজিজুল ইসলাম ও মো. আসাদুজ্জামানকে আসামি করা হয়েছে।

বাকি চার আসামি ঠিকাদার। তারা হলেন- রংপুরের স্থানীয় মেসার্স ম্যানিলা মেডিসিনের স্বত্ত্বাধিকারী মনজুর আহমেদ, এমএইচ ফার্মার মালিক মোসাদ্দেক হোসেন, মেসার্স অভি ড্রাগসের মালিক মো. জয়নাল আবেদীন ও মেসার্স আলবিরা ফার্মেসীর মালিক মো. আলমগীর হোসেন।

প্রনব কুমার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, হাসপাতালের জন্য ওষুধসহ বিভিন্ন খাতে আট কোটি ৬১ লাখ ১৭ হাজার ৭৩৯ টাকা আত্মসাৎ এবং বিনা দরপত্রে নয় কোটি ৫৩ লাখ ৬১ হাজার ৩৬ টাকার কার্যাদেশ প্রদানের অভিযোগে মামলাটি করা হয়।

এতে আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯, ৪২০ ও ১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে বলে জানান তিনি।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এমএসআর (মেডিসিন, সার্জিক্যাল, রিঅ্যাজেন্ট) খাতে ইনজেকশন সেমিপাইম-১ ক্রয় দেখিয়ে পাঁচ কোটি ১০ লাখ ৪১ হাজার ৪০৬ টাকা, পথ্য খাতে তিন কোটি ৫০ লাখ ৭৬ হাজার ৩৩২ টাকা আত্মসাত এবং বিনা দরপত্রে নয় কোটি ৫৩ লাখ ৬১ হাজার ৩৬ টাকার কার্যাদেশ দেয়।