শহীদ স্মরণে ৩০ লাখ গাছ

মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আগামী ১৮ জুলাই সারা দেশে একযোগে ৩০ লাখ গাছের চারা লাগানো হবে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 July 2018, 11:18 AM
Updated : 15 July 2018, 11:18 AM

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দিয়ে এসব গাছের চারা লাগানো হবে বলে মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ জানিয়েছেন।

রোববার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ৩০ লাখ গাচের চারা সরবরাহ করা হয়েছে। কোন কোন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দিয়ে এসব চারা রোপণ করা হবে- তাও ঠিক করা হয়েছে।

মন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৮ জুলাই সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলার উদ্বোধন করবেন।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বাণিজ্য মেলার মাঠে সাত দিন পরিবেশ মেলা এবং মাসব্যাপী এই বৃক্ষ মেলা চলবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ‘জাতীয় পরিবেশ পদক’, বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার এবং সামাজিক বনায়নের সুবিধাভোগীদের মধ্যে চেক বিতরণ করবেন।

বিশ্বের সঙ্গে তাল মিরিয়ে প্রতি বছর ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালন করা হলেও এবার জুন মাসে রোজা থাকায় এবং গাছের চারা প্রস্তুতির জন্য দিবসটি পালনের সময় পিছিয়ে দেওয়া হয় বলে জানান পরিবেশ ও বন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, এবার বিশ্ব পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে- ‘আসুন প্লাস্টিক দূষণ বন্ধ করি’। আর ‘সবুজে বাঁচি, সবুজ বাঁচাই, নগর-প্রাণ-প্রকৃতি সাজাই’ প্রতিপাদ্য নিয়ে জাতীয় বৃক্ষরোপণ ও বৃক্ষ মেলা হবে।

পরিবেশ মেলায় অংশ নেওয়া স্টলের মধ্যে নির্বাচিত তিনটি স্টলকে সনদ দেওয়া হবে।

দেশে বর্তমানে মোট আয়তনের সাড়ে ১০ শতাংশ বন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “২৫ শতাংশ বন থাকা দরকার। রিয়েলিটি হচ্ছে জায়গা ও জনসংখ্যা মিলিয়ে তা ২০ শতাংশ উন্নীত করা সম্ভব।

“সামাজিক বনায়ন হচ্ছে, অনেকেই জমিতে গাছ লাগচ্ছেন। দেশের ২২ শতাংশের মত জায়গা সুবজ আচ্ছাদনের মধ্যে আছে। কেবল বনায়নের মধ্য দিয়ে নয়, সামাজিক বনায়ন ও গৃহস্থালি বনায়ন করতে পারলে আমরা ২৫ শতাংশে নিতে পারব। এজন্য সবাইকে সচেতন করতে হবে।”

আনিসুল বলেন, বনের জায়গায় যেসব কারখানা গড়ে উঠেছে, তাদের বলা হবে বনের যতটুকু জায়গা দখল করে তারা কারখানা তৈরি করেছে বনের সঙ্গে ততটুকু জমি কিনে দিতে।

এক প্রশ্নের জবাবে পরিবেশ ও বন মন্ত্রী বলেন, “কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে সমুদ্র সৈকত পর্যন্ত বন উজাড় হয়ে গেছে। বনের কাঠ তারা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করেছে।

“তাদের সিলিন্ডার দেওয়া যায় কি না চিন্তা করেছিলাম। তবে সিলিন্ডার থেকে দুর্ঘটনা হলে ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে সেই ভয়ে সিলিন্ডার দেওয়া হয়নি। কয়লা দেওয়ার চিন্তাভাবনা আছে।… যে বন নষ্ট হয়ে গেছে সেটা রিপেয়ার করা হবে।”

দেশে পলিথিন নিষিদ্ধ হলেও এর ব্যবহার যে ঠিকই হচ্ছে- তা স্বীকার করে আনিসুল বলেন, “ছোট ছোট ঘরে মেশিন বসিয়ে পলিথিন তৈরি করা হচ্ছে। কোন কোন জায়গায় পলিথিন বানাচ্ছে তার সব তথ্য আমরা পাচ্ছি না। আমরা চাই পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ হয়ে যাক “

তিনি বলেন, “পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করতে হলে বিকল্প প্যাকেজিং ম্যাটেরিয়াল দিতে হবে। পাট দিয়ে পলিথিন বানাতে আমরা টাকা দিতে রাজি আছি।