রূপপুরে দ্বিতীয় ইউনিটের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন

পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট নির্মাণে কংক্রিট ঢালাই কাজ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রিয়াজুল বাশার রূপপুর থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 July 2018, 06:28 AM
Updated : 14 July 2018, 08:56 AM

হেলিকপ্টারে ঢাকা থেকে রওনা হয়ে শনিবার দুপুরে রূপপুরে নেমেই এই কাজের উদ্বোধন করেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন রাশিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী ইউরি বরিসভ, আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) পরিচালক দোহি হ্যান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান।

কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদও ছিলেন এই অনুষ্ঠানে।

গত বছরের ৩০ নভেম্বর শেখ হাসিনা রূপপুরে পরমাণু চুল্লির জন্য কংক্রিটের মূল স্থাপনা নির্মাণ উদ্বোধন করেছিলেন, যার মধ্য দিয়ে শুরু হয় দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মূল নির্মাণ পর্বের কাজ।

ওই সময় থেকে ৬৮ মাসের মধ্যে মূল স্থাপনা নির্মাণের কথা রয়েছে এ কাজের দায়িত্ব পাওয়া রাশিয়ার কোম্পানি অ্যাটমস্ট্রয় এক্সপোর্টের।

সরকার আশা করছে, ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে রূপপুরের ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার প্রথম ইউনিটের বিদ্যুৎ যোগ হবে জাতীয় গ্রিডে। পরের বছর চালু হবে সমান ক্ষমতার দ্বিতীয় ইউনিট।

গত সপ্তাহে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের দ্বিতীয় ইউনিটের জন্য বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনকে ‘ডিজাইন ও কনস্ট্রাকশন লাইসেন্স’ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (বায়েরা)।

রূপপুরের প্রকল্প এলাকায় এক হাজার ৬২ একর জমির ওপর চলছে বিপুল কর্মযজ্ঞ। প্রথম পর্যায়ের বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ এরইমধ্যে শেষ হয়েছে।

বাংলাদেশের প্রথম পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মিত হচ্ছে রুশ সহায়তায়। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ২০১৫ সালের ২৫ ডিসেম্বর রোসাটমের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান অ্যাটমস্ট্রয় এক্সপোর্টের সঙ্গে চুক্তি করে বাংলাদেশের পরমাণু শক্তি কমিশন।

দুই ইউনিট মিলিয়ে এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১২ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার (১ লাখ ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা)। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশের ইতিহাসে রেকর্ড ব্যয়ের এই প্রকল্পে চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়।

২০১৩ সালের জানুয়ারিতে শেখ হাসিনার রাশিয়া সফরের সময় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কারিগরি গবেষণার জন্য রাশিয়ার কাছ থেকে ৫০ কোটি ডলার ঋণ পাওয়ার একটি চুক্তি হয়। ওই বছরই অক্টোবরে রূপপুরে হয় ভিত্তিস্থাপন।

সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্বলিত সর্বাধুনিক তৃতীয় প্রজন্মের প্রযুক্তি দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র। ব্যবহৃত তেজষ্ক্রিয় জ্বালানি সরিয়ে নিতেও রাশিয়া বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।