বৃহস্পতিবার দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহিদ হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল সেখানে সেবাদাতা ২০টি কাউন্টার পরিদর্শন করে বলে কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “দুদক দল সেবাগ্রহীতাদের থেকে অভিযোগ পেয়ে ১১৩ নম্বর কাউন্টারে গিয়ে দেখে, গাড়ির রেজিস্ট্রেশন ও ফিটনেস প্রদান কাজে যথেষ্ট বিলম্বিত হচ্ছিল, এরপর কর্তৃপক্ষ ওই কাউন্টারে কর্মরত শাহ মোহাম্মদ মুয়াবিয়াকে তাৎক্ষণিক প্রত্যাহার করে।”
এর আগে দুদকের হটলাইনে (১০৬) হয়রানির শিকার যানবাহন মালিকদের অভিযোগ পেয়ে বিআরটিএ’র এ কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয় বলে জানান প্রনব।
তিনি বলেন, দুদক দল বিআরটিএ’র উপ-পরিচালক মাসুদ আলমকে যানবাহন রেজিস্ট্রেশন ও ফিটনেস কার্যপদ্ধতির সংস্কার ও উন্নয়নের আহ্বান জানায়।
“বিআরটিএ কার্যালয়ে সম্প্রতি বসানো আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন ভেহিকেল ফিটনেস ডিভাইসটির মাধ্যমে ’শিকড় পরিবহন’ এর একটি মিনিবাস তাৎক্ষণিক পরীক্ষা করলে এটি অনুত্তীর্ণ হয়।”
এ সময় দুদক দলের উপস্থিতিতে ১০টি প্রাইভেটকার ‘হয়রানি ও দুর্নীতিমুক্ত’ তাৎক্ষণিকভাবে ফিটনেস সার্টিফিকেট পায় বলে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব জানান।
অভিযান শেষে দুদক দল বিআরটিএ’র এই কার্যালয়ে দুর্নীতিবিরোধী স্টিকার ও লিফলেট বিতরণ করে এবং মাইকিং করে জনসাধারণকে ঘুষ আদান-প্রদান থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে অভিযানের সমন্বয়কারী দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, “বিআরটিএতে বিশৃঙ্খলার কারণ দুর্নীতি, তাই এ অভিযান চলছে। এছাড়া দুর্নীতিবাজদের ধরতে ট্র্যাপ-টিমকেও সদা তৎপর রাখা হয়েছে।”