অর্থমন্ত্রীর প্রস্তাবিত বাজেটের উপর সরকারি ও বিরোধী দলসহ অন্যান্য দলের ২২৩ জন সংসদ সদস্য ৫৫ ঘণ্টা ৫৫ মিনিট আলোচনা শেষে গত ২৮ জুন ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার বাজেট পাস করেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনের সমাপ্তি সংক্রান্ত রাষ্ট্রপতির আদেশ পাঠ করার মধ্য দিয়ে অধিবেশনের ইতি টানেন।
সমাপনী বক্তব্যে শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদ পরিচালনায় সহযোগিতার জন্য, সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেতা, ডেপুটি স্পিকারসহ সকল সংসদ সদস্যকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় কাজ করেছে সংসদীয় গণতন্ত্রের যাত্রায় এই দশম জাতীয় সংসদ। সংসদকে কার্য়কর করতে গণতন্ত্রের এই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। জনগণের জীবনকে প্রভাতি করে এমন বিষয় নিয়ে দশম সংসদ কার্যকর ভূমিকা রেখেছে।আসুন আমরা সংসদকে আরও শক্তিশালী করি।“
“বাজেট অধিবেশনে সংসদ সদস্যগণ বাজেটের উপর গুরুত্বপূর্ণ মতামত দিয়েছেন। সকলের সরব অংশগ্রহণে এবারের এ অধিবেশনটি হয়ে উঠেছিলো প্রাণবন্ত ও কার্যকর।”
গত ৫ জুন এই অধিবেশন শুরু হয়। বাজেট আলোচনায় সরকারি ও বিরোধী দলের সদস্যরা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম নিয়ে অর্থমন্ত্রীর সমালোচনায় মুখর ছিলেন।
বাজেট পাস হওয়ার পর গত ৮ জুলাই সংবিধানের সপ্তদশ সংশোধনী বিল পাস হয়।
সংসদ সচিবালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২৫ কার্যদিবসের এই অধিবেশনে মোট ১৪টি বিল পাস হয়। এছাড়া ৭১ বিধিতে পাওয়া ১৮০টি নেটিশের মধ্যে ১২টি নোটিশ গ্রহণ করা হয়। যার মধ্যে আলোচনা হয়েছে ৭টি। ৭১(ক) বিধিতে ৩৮টি নোটিশ আলোচিত হয়েছে।
অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর উত্তর দেওয়ার জন্য প্রশ্ন জমা পড়ে ১৬৫টি। যার মধ্যে সংসদ নেতা জবাব দেন ৬৭টি প্রশ্নের। এছাড়া অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীদের জন্য দুই হাজার ৮৮১টি প্রশ্ন জমা পড়ে; মন্ত্রীরা উত্তর দেন দুই হাজার ২৯টি।