প্রতিটি শ্রেণিতে পুরস্কারপ্রাপ্তরা সনদ ও ক্রেস্ট পাবেন। এছাড়া প্রথম পুরস্কারপ্রাপ্তদের ৩০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কারের জন্য ২০ হাজার টাকা এবং তৃতীয় পুরস্কার বিজয়ীদের ১৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্প্রতি পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয়, ইবতেদায়ী মাদ্রাসা, সিনিয়র মাদ্রাসা শ্রেণি
মুন্সিগঞ্জের পয়শা উচ্চ বিদ্যালয় প্রথম, কুমিল্লার চান্দিনা ডা. ফিরোজা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় দ্বিতীয় ও নড়াইলের লোহাগড়ার ৪ নম্বর নলদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় তৃতীয় পুরস্কার পাচ্ছে।
কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় শ্রেণি
মৌলভীবাজারের শাহ নিমাত্রা সাগরনাল ফুলতলা কলেজ প্রথম, কুমিল্লার চান্দিনা রেদোয়ান আহমেদ কলেজ দ্বিতীয় এবং মৌলভীবাজারের তৈয়বুন্নেছা খানম একাডেমি ডিগ্রি কলেজ তৃতীয় পুরস্কার পাচ্ছে।
ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, সিটি করপোরেশন শ্রেণি
চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলা পরিষদ প্রথম, নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা পরিষদ দ্বিতীয় ও সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলা পরিষদ তৃতীয় পুরস্কার পাচ্ছে।
অধিদপ্ততর, পরিদপ্তর, সেক্টর করপোরেশন, প্রতিষ্ঠান শ্রেণি
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন প্রথম এবং গোপালগঞ্জের শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান দ্বিতীয় পুরস্কার পাচ্ছে।
ব্যক্তিগত পর্যায়ে বৃক্ষরোপণ শ্রেণি
প্রথম পুরস্কার পাচ্ছেন দিনাজপুরের নতুন ভূষির বন্দরের পায়েল দেবী আগরওয়ালা। দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার পাচ্ছেন যথাক্রমে নওগাঁর পোরশার আব্দুস ছালাম মণ্ডল ও লক্ষ্মীপুর সদরের দত্তপাড়ার জাহানারা শফিক।
ব্যক্তি মালিকানাধীন নার্সারি শ্রেণি
প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার পাচ্ছেন যথাক্রমে সাভারের আশুলিয়ার হোসেন নার্সারি (মালিক হাসিনা বেগম), খুলনার পাইকগাছার ডালিয়া নার্সারি (মালিক তানিয়া খাতুন) ও বগুড়া সদরের গোকুল বাঘোপাড়ার সৌখিন নার্সারি (মালিক মো. আতিকুল ইসলাম)।
বাড়ির ছাদে বাগান সৃজন শ্রেণি
ফরিদপুর কমলাপুরের হান্না শুক্তি কনা, রাজশাহী রাজপাড়ার তহমিনা খাতুন ও দিনাজপুর সদরের মধ্য বালুবাড়ীর সুলতানা ফেরদৌসী যথাক্রমে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন।
‘বন বিভাগ কতৃর্ক সৃজিত বাগান’ শ্রেণি
প্রথম দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কারের জন্য মনোনীতরা হলেন- বরিশাল সামাজিক বন বিভাগ, নোয়াখালীর উপকূলীয় বন বিভাগের চরবাটা রেঞ্জ ও নোয়াখালীর উপকূলীয় বন বিভাগের চর আলাউদ্দিন রেঞ্জ।
‘বৃক্ষ গবেষণা, সংরক্ষণ, উদ্ভাবন মূল্যায়ন’ শ্রেণি
চট্টগ্রামের বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউটটের বিভাগীয় কর্মকর্তা রফিকুল হায়দার প্রথম এবং সাতক্ষীরা সদরের বলাডাঙ্গার মো. ইয়ারব হোসেন দ্বিতীয় পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন।
বঙ্গবন্ধু বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ পুরস্কার পাচ্ছে ৩ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান
তিনটি শ্রেণিতে তিন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ‘বঙ্গবন্ধু অ্যাওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ড লাইফ কনজারভেশন-২০১৮’ এর জন্য চূড়ান্তভাবে মনোনীত করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা, গবেষক, বিজ্ঞানী, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণবাদী ব্যক্তি ও গণমাধ্যম কর্মী বা ব্যক্তিত্ব’ শ্রেণিতে পুরস্কার পাচ্ছেন পাখি বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ইনাম আল হক।
বন্যপ্রাণী বিষয়ক শিক্ষা ও গবেষণা শ্রেণিতে পুরস্কারের জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মো. মফিজুল কবিরকে মনোনীত করা হয়েছে।
এছাড়া বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে নিবেদিত প্রতিষ্ঠান শ্রেণিতে নওগাঁর মহাদেবপুরের ‘আলী দেওনা পাখি সংরক্ষণ কমিটি’ পুরস্কার পাচ্ছে।
নীতিমালা অনুযায়ী পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রত্যেক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে দুই ভরি ওজনের স্বর্ণের বাজারমূল্যের সমপরিমাণ নগদ অর্থ, ৫০ হাজার টাকার চেক ও সনদপত্র দেওয়া হবে।
বিরল, বিপদাপন্ন, বিলুপ্তপ্রায় উদ্ভিদ ও বন্যপ্রাণী প্রজাতি সংরক্ষণে বিশেষ অবদানের জন্য ২০১০ সাল থেকে এই পুরস্কার চালু করেছে সরকার।