ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের আবাসিক প্রতিনিধি ছাড়াও এই ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত ফ্রান্স, ইংল্যান্ড ও জার্মানির রাষ্ট্রদূত এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
এই চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ এখন ইউনিকের ক্লাস্টার সদস্য হিসেবে সংস্কৃতি বিনিময়ে ভূমিকা রাখতে পারবে।
ইউরোপীয় দেশগুলো নিজেদের মধ্যে সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনের লক্ষ্যে ২০০৬ সালে ইউরোপিয়ান ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর কালচার-(ইউনিক) নামে এই প্ল্যাটফর্মের যাত্রা শুরু করে। ৩৬টি সদস্য দেশ ছাড়াও এখন এই প্ল্যাটফর্মে ১০৩ সদস্য যুক্ত হয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর বাইরে অন্য যেসব দেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত অন্তত তিনটি দেশের দেশের দূতাবাস রয়েছে, সেখানে ক্লাস্টার কার্যকম পরিচালনা করা যাবে বলে সংগঠনের নীতিতে বলা হয়েছে।
সেই নীতিতে বাংলাদেশ এখন ক্লাস্টার সদস্য হিসেবে সংস্কৃতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইউরোপীয় দেশুগুলোর সঙ্গে যৌথ অংশীদারিত্বে কাজের সুযোগ পেল। বাংলাদেশ এখন ‘ইউনিক বাংলাদেশ’ হিসেবে কাজ করবে।
বুধবার বিকালে ফ্রাঙ্কো জার্মান দূতাবাসে এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানটি হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।
ইউনিক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, “ইউনিক বাংলাদেশে লক্ষ্য হবে অংশীজনদের সাথে নানা কর্মসূচি আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে ইইউ’র উপস্থিতি বাড়ানো।”
অনুষ্ঠানে আরও উপিস্থত ছিলেন ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের পরিচালক বারবারা উইকহ্যাম, আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ ঢাকার পরিচালক ব্রুনো প্লাসি, গ্যেটে ইনস্টিটিউটের পরিচালক কার্স্টেন হ্যাকেনব্রক প্রমুখ।
ইইউ রাষ্ট্রদূত রেনসে তিরিংক বলেন, “ইউরোপীয় ইউনিয়নের লক্ষ্য হবে পারস্পরিক সাংস্কৃতিক প্রকল্প ও শক্তিশালী অংশীদারিত্ব বাড়ানো। লক্ষ্য হবে, সাংস্কৃতিক অনুশীলন বাড়ানো যা বিশ্বব্যাপী প্রভাব বিস্তারে সক্ষম হবে।”
অ্যালিসন ব্লেইক বলেন, “প্রত্নতাত্ত্বিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের বিস্তৃত প্রচারণায় আন্তঃসাংস্কৃতিক বিনিময় বৃদ্ধিতে পাশাপাশি, এ খাতে দক্ষতার সমন্বয় ও প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।”
ফরাসি রাষ্ট্রদূত মারি আনিক বুহ্দাঁ বলেন, “ইউনিক বাংলাদেশ তৈরির মাধ্যমে ইউরোপ ও বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করবে।”
জার্মানির রাষ্ট্রদূত হাইনরিখ প্রিনজ বলেন, “ইউনিক বাংলাদেশের এই উদ্যোগ ভবিষ্যতে আমাদের বাংলাদেশি অংশীদারদের সাথে সম্পর্ক জোরদার করবে।”
বাংলাদেশে আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ, ব্রিটিশ কাউন্সিল ও গ্যেটে ইনস্টিটিউট বিস্তৃত পরিসরে নিয়মিত ভিত্তিতে আরও নানা কার্যক্রম আয়োজন করছে।
আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ ও গ্যেটে ইনস্টিটিউট ফ্যাশন ডিজাইন, স্থাপত্য নিদর্শন ও পাট দিয়ে নির্মিত আসবাবপত্র নিয়ে বেশকিছু প্রকল্প হাতে নিয়েছে।