‘মানুষের জন্য বিজ্ঞান’ গবেষণায় পুরস্কারের ঘোষণা

সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নে প্রায়োগিক বিজ্ঞানে গবেষণা প্রকল্পের ওপর পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছে চারটি সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 July 2018, 03:42 PM
Updated : 11 July 2018, 03:42 PM

বুধবার ধানমণ্ডির মাইডাস সেন্টারের এডওয়ার্ড এম কেনেডি (ইএমকে) সেন্টার ফর পাবলিক সার্ভিস অ্যান্ড দি আর্টস মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ‘মানুষের জন্য বিজ্ঞান’ শীর্ষক গবেষণা পুরস্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়।

ইএমকে সেন্টারের সঙ্গে যৌথভাবে এ পুরস্কার দেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিকেল ফিজিক্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স সোসাইটি এবং রিলেভেন্ট সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি সোসাইটি।

সংবাদ সম্মেলনে পুরস্কারের নানা দিক তুলে ধরে বক্তব্য দেন বায়োমেডিকেল ফিজিক্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের অনারারি অধ্যাপক ও রিলেভেন্ট সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি সোসাইটির সভাপতি ড. খোন্দকার সিদ্দিক-ই রব্বানী।

তিনি বলেন, বিজ্ঞান নানা কৌতূহল নিবৃতির পাশাপাশি মানুষের ব্যবহার ও মানুষকে সভ্য করার জন্য বিভিন্ন ধরনের আবিষ্কার করে।

“পাশ্চাত্য দেশগুলো ব্যবহারিক বিজ্ঞান গবেষণা ও আবিষ্কারে অনেক এগিয়ে গেলেও আমরা অনেক পিছিয়ে। সে কারণে তাদের আবিষ্কৃত নানা যন্ত্র আমাদের সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে থেকে যাচ্ছে।”

তৃতীয় বিশ্বের নাগরিকদের ব্যবহার উপযোগী করে এখানকার উপকরণ ব্যবহার করে যন্ত্র আবিষ্কারের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছেন জানিয়ে এই অধ্যাপক বলেন, “স্বল্প খরচে আমাদের উদ্ভাবিত টেলিমেডিসিন সেবা পাচ্ছেন ৩২টি গ্রামের মানুষ।”

বিশ্ববিদ্যালয় ও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের স্নাতক বা ডিপ্লোমা কোর্সের শিক্ষার্থীরা এই পুরস্কারের জন্য প্রকল্প জমা দিতে পারবেন জানিয়ে অধ্যাপক সিদ্দিক-ই রব্বানী বলেন, ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে অংশগ্রহণের আবেদন করতে হবে। একজন বা সর্বোচ্চ তিনজন মিলে দলগত প্রকল্পও জমা দেওয়া যাবে।

তিনি জানান, www.science4mankind.netওয়েবসাইট থেকে নির্ধারিত ফর্মের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। সেখানে প্রকল্পের শিরোনাম এবং ৫০০ শব্দের মধ্যে প্রকল্পের সারসংক্ষেপ পাঠাতে হবে। এই ওয়েবসাইটে পুরস্কারের বিস্তারিতও পাওয়া যাবে।

প্রাথমিক ও চূড়ান্ত বাছাই করা প্রকল্পগুলোর প্রদর্শনী ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে। সেখান থেকেই বিচারকমণ্ডলী পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত করবেন।

উত্তম, মধ্যম এবং সন্তোষজনক ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেওয়া হবে জানিয়ে অধ্যাপক সিদ্দিক-ই রব্বানী বলেন, “প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের জন্য মেনটরিং সহায়তা দেওয়া হবে এবং অর্থ সাহায্যের যথাযথ দাতাগোষ্ঠীর সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে দেওয়া হবে।”

সংবাদ সম্মেলনে ইএমকে সেন্টারের পরিচালক এম কে আরেফ বলেন, “অ্যাপের মতো ব্যয়বহুল ও শহুরে আবিষ্কারে সহায়তার কাজ এর আগে আমরা করেছি। এখন আমরা দেশীয় জিনিসপত্র ব্যবহার করে স্বল্পমূল্যের যন্ত্রপাতি আবিষ্কারে সহায়তা করতে চাই, যেটা সহজে বাস্তবায়নযোগ্য এবং টেকসই হবে।”

এ সময় অন্যদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিকেল ফিজিক্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের চেয়ারপারসন ড. আবদুল কাদির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স সোসাইটির সভাপতি রাইসা নাসের বক্তব্য দেন।