বুধবার ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আখতারুজ্জামান পাঁচ বছর আগের এই দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা করেন।
বিচারক কারাদণ্ডের পাশাপাশি জেসমিন ইসলামকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন, যা সাত দিনের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। আর তার সাজা থেকে হাজতবাসকালীন সময় বাদ যাবে।
হল-মার্ক গ্রুপের ঋণ কেলেঙ্কারির মামলায় গত ২১ মাস ধরে কারাবন্দিকে এই রায়ের জন্য মঙ্গলবার আদালতে হাজির করা হয়। তার উপস্থিতিতেই বিচারক রায় ঘোষণা করেন। সাজা ঘোষণার পর জেসমিনকে আবার নিয়ে যাওয়া হয় কারাগারে।
জেসমিনের আইনজীবী শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, এই রায়ের বিরুদ্ধে তারা উচ্চ আদালতে যাবেন।
২০১০ থেকে ২০১২ সালের মার্চ পর্যন্ত সময়ে সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা শাখা থেকে অনিয়মের মাধ্যমে হল-মার্ক গ্রুপের আড়াই হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার ঘটনা প্রকাশ পেলে ব্যাপক শোরগোল ওঠে।
ওই অভিযোগের ভিত্তিতে ২০১২ সালের অগাস্টে আর্থিক খাতে বড় এই কেলেঙ্কারির ঘটনার অনুসন্ধান ও তদন্ত শুরু করে দুদক। প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে ওই বছর ৪ অক্টোবরে মোট ১১টি মামলা করা হয়।
এসব মামলার সবগুলোতেই জেসমিন ও তার স্বামী হল-মার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মাহমুদ আসামি। অভিযোগপত্র হওয়ার পর ২০১৬ সালের নভেম্বরে বংশাল থেকে জেসমিনকে গ্রেপ্তার করে দুদক।
তার আগে ২০১২ সলেও একবার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন হল-মার্ক চেয়ারম্যান জেসমিন। বেশ কিছুদিন কারাগারে কাটিয়ে সেবার তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান।
সে সময় কারাগারে থাকা অবস্থায় ২০১৩ সালের ১৩ নভেম্বর সম্পদের হিসাব চেয়ে তার কাছে নোটিস পাঠায় দুদক।
কারাগারে ওই নোটিস পাওয়ার পর জেসমিন আইনজীবীর মাধ্যমে সময় বাড়ানোর আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করে। তারপরও তিনি সম্পদের হিসাব না দেওয়ায় ওই বছর ১২ ডিসেম্বর রমনা মডেল থানায় মামলা করে দুদক।
তদন্ত শেষে দুদক জেসমিনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় এবং ২০১৬ সালের ১৭ মার্চ অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে আদালত তার বিচার শুরু করে।
আদালতে জেসমিনের বক্তব্য ছিল, তিনি হল-মার্কের কোনো সম্পদের মালিক নন; মালিক তার স্বামী তানভীর। আর দুদকের নোটিস দেওয়ার সময় তিনি কারাগারে ছিলেন।
দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর জানান, রাষ্ট্রপক্ষে ছয় জন এবং আসামিপক্ষে একজনের সাক্ষ্য শুনে আদালত বুধবার রায় ঘোষণা করে।
পুরনো খবর