দেশব্যাপী সৃজনশীল মেধা অন্বেষণে জাতীয় পর্যায়ের সেরা মেধাবীকে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বুধবার তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে। পৃথিবীর সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের চলতে হবে। আমাদের ছেলেমেয়েদেরও আমরা সেভাবে গড়ে তুলতে চাই।”
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা জাতীয় পর্যায়ে বিজয়ীদের মেডেল পরিয়ে দেন এবং ক্রেস্ট, সনদ ও এক লাখ টাকার চেক তুলে দেন।
তিনি বলেন, “আগামী দিনের পৃথিবীর সাথে তাল মিলিয়ে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে … প্রতিযোগিতায় যেন আমাদের ছেলেমেয়েরা এগিয়ে থাকে; সেই দিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা আমাদের সব রকম ব্যবস্থা নিচ্ছি।”
ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ষষ্ঠ সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা শুরু হয় গত ২৭ মার্চ। ভাষা ও সাহিত্য, দৈনন্দিন বিজ্ঞান ও বিজ্ঞান, বাংলাদেশ স্টাডিজ ও মুক্তিযুদ্ধ এবং গণিত ও কম্পিউটার বিষয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় শিক্ষার্থীরা।
থানা, উপজেলা, জেলা, মহানগর ও বিভাগ পর্যায়ে বিজয়ী মোট ১০৮ জন শিক্ষার্থী জাতীয় পর্যায়ে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।
এছাড়া প্রতি বিভাগ থেকে ২০১৮ সালের সৃজনশীল মেধা অন্বেষেণ বিজয়ী ১২ জন করে সেরা মেধাবীকে পুরস্কার দেওয়া হয় এ অনুষ্ঠানে।
ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, বরিশাল, রংপুর ও ময়মনিসংহ বিভাগ এবং ঢাকা বিভাগের ৯৬ জন প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে মেডেল, সনদ ও পাঁচ হাজার টাকার চেক নেয়।
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে নতুন নতুন বিষয় অধ্যায়নের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, “যেসব নতুন নতুন সাবজেক্ট আসছে; তার ওপর পড়ার ব্যবস্থা করা সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বের বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুলগুলোতে যেসব বিষয় শেখাচ্ছে; সেগুলোর ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।”
পাশাপাশি শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ওপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “শিক্ষকদের ট্রেনিং দেওয়া থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রেই আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি। কোনো ক্ষেত্রই আমরা বাকি রাখিনি।”
বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের প্রশংসা করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের ছেলেমেয়েরা এত মেধাবী… আমি মনে করি সারা বিশ্বে বাংলাদেশের ছেলেমেয়েরা সব থেকে মেধাবী।”
পুরস্কার পাওয়া প্রতিযোগীদের মধ্যে সিরাতল মোস্তাকিম শ্রাবণী ও মাহিন মুনতাসির অনুষ্ঠানে নিজেদের অনুভূতি জানিয়ে বক্তব্য দেয়।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কেরামত আলী। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন।