পাশাপাশি এই মাসের মাঝামাঝিতে বর্ষার ভরা মৌসুমে দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা করছে সংস্থাটি।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশের উজানে ভারি বৃষ্টির কারণে চলতি মাসের দ্বিতীয়ার্ধে উত্তরাঞ্চল, মধ্যাঞ্চল ও উত্তর পূর্বাঞ্চলে স্বল্প থেকে মধ্য মেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
“এ সময় বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি মৌসুমী লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে অন্তত একটি নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে।”
এদিকে মৌসুমী বায়ু দেশজুড়ে সক্রিয় থাকায় মধ্য আষাঢ়ের পর মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে।
আরও দুই দিন মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টির পর আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে, ১৭০ মিলিমিটার। এ সময় রাঙামাটিতে ১৪১ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড হয়। ভারি বৃষ্টিতে পাহাড় ধসে বান্দরবানে একই পরিবারের তিনজনসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টি হতে পারে বলে সতর্ক করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম রুহুল কুদ্দুছ বলেন, সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টর মধ্যে (বুধবার) রংপুর, সিলেট, ময়মনসিংহ ও চট্রগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও দমকা হাওয়াসহ ভারি (৪৪-৮৮ মিমি) থেকে অতি ভারি (>৮৯ মিমি) বৃষ্টি হতে পারে।
গত এপ্রিল-মে মাস জুড়েই ছিল কালবৈশাখী ও বজ্রপাতের দাপট। জুন মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টি হয় এবং একটি নিম্নচাপও ছিল। এর প্রভাবে ১২ জুন ভারি বৃষ্টি ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটে।
গেল বছর প্রকৃতিতে ভারি বর্ষণ আঁটঘাট বেঁধেছিল বর্ষা আসার আগেই। রাঙামাটিতে সর্বোচ্চ ৩৪৩ মিলিমিটার এবং ঢাকায় ১৩৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের রেকর্ড হয়েছিল।