প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই প্রস্তাবে নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবারহে বিশেষ আইন আছে, সময়ে সময়ে এর মেয়াদ বাড়ানো হয়।
২০১৫ সালের ২৭ জানুয়ারি এই আইনের মেয়াদ চার বছর বাড়িয়ে জাতীয় সংসদে বিল পাস হয়। আগামী ১১ অক্টোবর এই আইনের মেয়াদ শেষ হবে।
নতুন করে মেয়াদ বাড়ায় ২০২১ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ’ আইন কার্যকর থাকবে বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট ক্ষমতায় আসার পর দেশে বিদ্যুতের বড় ধরনের ঘাটতির প্রেক্ষাপটে ২০১০ সালে এই আইন করা হয়। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য ‘বিশেষ কমিটির’ মাধ্যমে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে চুক্তি করার বিধান রাখা হয় এতে।
এর আওতায় সরকার স্বল্পসময়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে, ওয়েবসাইটে প্রচার চালিয়ে বা ই-মেইলে যোগাযোগ করে ‘আলোচনা ও দর কষাকষির মাধ্যমে’ বিদ্যুৎ বা জ্বালানি প্রকল্পের জন্য চুক্তি করতে পারে।
শুরুতে এ আইনের মেয়াদ দুই বছর থাকলেও ২০১২ সালের নভেম্বরে আইন সংশোধন করে মেয়াদ করা হয় চার বছর। পরে ২০১৫ সালে আইনটির মেয়াদ আরও চার বছর বাড়ায় সরকার।