রোববার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত নিহতদের স্বজন, শুভানুধ্যায়ী, বিভিন্ন দূতাবাস, ব্যক্তি, সংগঠন ও গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য এ ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
ভয়াবহ ওই জঙ্গি হামলার পর বাড়িটি বেকারি সরিয়ে নিয়ে বাড়িটি বসবাস উপযোগী করলেও সেখানে থাকেন না সাদাতের পরিবার। বেশিরভাগ সময়ই তালা ঝোলে বাড়িটিতে।
সাদাত মেহেদী শুক্রবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে সাদাত মেহেদী বলেন, “নিহতদের স্মরণে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে তাদের আত্মীয়-স্বজন, শুভানুধ্যায়ী, বিভিন্ন ব্যক্তি এবং যারা যারা সেখানে গিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে ইচ্ছুক, তাদের সবার জন্য রোববার সকাল ১০টা থেকে চার ঘণ্টার জন্য গেইট খুলে দেওয়া হবে।”
সবাই যাতে সহজে ও সুশৃঙ্খলভাবে শ্রদ্ধা জানানে পারেন, সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা চাওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
গত বছরও হামলার প্রথম বার্ষিকীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য বাড়িটি কয়েক ঘণ্টা সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল।
২০১৬ সালের ১ জুলাই জঙ্গি হামলার পর কয়েক মাস বাড়িটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ন্ত্রণে ছিল। এরপর বাড়িটি মালিককে বুঝিয়ে দেওয়া হলে সেখানে নতুন করে আর বেকারি চালু করেননি সাদাত।
ওই দিন কূটনীতিক পাড়া গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালিয়ে ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। তাদের ঠেকাতে গিয়ে দুই পুলিশ কর্মকর্তাও নিহত হন।
সাদাতের স্ত্রী সামিরা আহমেদ উত্তরাধিকার সূত্রে এই বাড়ির মালিক। ১৯৭৯ সালে ‘আবাসিক ভবন কাম ক্লিনিক গড়ে তোলার জন্য’ ডা. সুরাইয়া জাবিনকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল বাড়িটি। ১৯৮২ সালে ওই প্লটের একপাশে গড়ে তোলা হয় লেকভিউ ক্লিনিক।
সুরাইয়ার মৃত্যুর পর প্লটের মালিক হন তার মেয়ে সামিরা ও সারা আহমেদ। সামিরার স্বামী সাদাত মেহেদী তার বন্ধু নাসিমুল আলম পরাগসহ কয়েকজন মিলে ২০১৪ সালের জুনে গড়ে তোলেন হলি আর্টিজান বেকারি।
জঙ্গি হামলার ছয় মাস পর গত বছরের ১০ জানুয়ারি থেকে গুলশান এভিনিউর র্যাংগস আর্কেডের দ্বিতীয় তলায় স্বল্প পরিসরে হলি আর্টিজান বেকারিটি নতুন করে চালু হয়। সেখানে পুরনো বেকারির পাঁচ কর্মচারীসহ আটজন কাজ করেন।