বুধবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সরকারকে এ সুপারিশ করা হয় বলে সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বর্তমানে সরকারি চাকরিতে ঢোকার সর্বোচ্চ বয়স ৩০ বছর। ২০১১ সালে সরকারি কর্মকর্তাদের অবসরের বয়সসীমা দুই বছর বাড়ানোর পর ঢোকার বয়সও বাড়ানোর দাবি ওঠে চাকরি প্রত্যাশী শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে।
তারা যুক্তি দেখায়, সরকারি নিয়ম অনুসরণ করে বেসরকারি ব্যাংকসহ বহুজাতিক কোম্পানিগুলোও ৩০ বছরের বেশি বয়সীদের নিয়োগ দেয় না বলে বেসরকারি ক্ষেত্রেও চাকরির সুযোগ সঙ্কুচিত হয়ে আসছে।
কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় জানানো হয়, চাকরিতে ঢোকার বয়সসীমা বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই।
কিন্তু সংসদীয় কমিটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে চাকরিতে ঢোকার বয়সসীমা বাড়িয়ে ৩৫ বছর করার পাশাপাশি অবসরের বয়সসীমা ৫৯ বছর থেকে বাড়িয়ে ৬৫ বছর করার ব্যবস্থা করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলেছে।
কেন্দ্রীয়ভাবে শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের সুপারিশ
সংসদীয় কমিটি বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে শিক্ষক নিয়োগ পদ্ধতি বাতিল করে স্থানীয়ভাবে ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার সুপারিশ করেছে।
কমিটি বলেছে, এনটিআরসিএ’র মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ হলে দীর্ঘসূত্রতা ও অনিয়মের সুযোগ থাকে।
স্থানীয়ভাবে ব্যবস্থাপনা কমিটির মাধ্যমে নিয়োগে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ ওঠার প্রেক্ষাপটে তা এড়াতে এনটিআরসিএ’র মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে শিক্ষক নিয়োগ পদ্ধতি প্রবর্তন করা হয়।
নিবন্ধনের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে মৌখিক পরীক্ষা বাতিলের সুপারিশও করেছে সংসদীয় কমিটি।
এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির ক্ষেত্রে উপজেলার আকার, ইউনিয়ন সংখ্যা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বিবেচনা করে স্কুল-কলেজ সরকারিকরণের পরামর্শ দিয়েছে সংসদীয় কমিটি।
কমিটির সভাপতি এইচ এন আশিকুর রহমানের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, র আ ম উবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরী, মো. আব্দুল্লাহ, খোরশেদ আরা হক বৈঠকে অংশ নেন।