এডিস মশার বিরুদ্ধে মেয়র খোকনের ‘যুদ্ধ’ শুরু

গতবছর চিকুনগুনিয়া নিয়ে ‘অপ্রস্তুত’ থাকলেও এবার মশার ’দখল’ থেকে ঢাকাকে রক্ষা করতে আগেভাগেই এডিস মশার লার্ভা নিধনে নেমেছে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 June 2018, 02:53 PM
Updated : 25 June 2018, 03:07 PM

সোমবার ধানমণ্ডির সাত মসজিদ রোডে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার জন্য দায়ী এডিস মশার প্রজননস্থল শনাক্ত এবং লার্ভা ধ্বংসের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়র জানান, দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার ৫৭টি ওয়ার্ডে আগামী ১৫ দিন চলবে এডিস মশার লার্ভা নিধন কার্যক্রম।

“আমাদের কর্মীরা প্রতিটি ওয়ার্ডের কমপক্ষে একশ বাড়িতে যাবে। সে হিসেবে আগামী ১৫ দিনে ৫৭০০ বাড়িতে আমরা মশার লার্ভা শনাক্ত এবং ধ্বংস করব।”

ঢাকার সাত মসজিদ রোডে সোমবার এডিস মশার লার্ভা শনাক্ত এবং ধ্বংস কার্যক্রমে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন। ছবি: মাহমুদ জামান অভি

এডিস মশার লার্ভা নিধনের এই কার্যক্রমে কোনও বাড়িতে প্রথমবার এডিস মশার লার্ভা পেলে তা ডিএসসিসির কর্মীরা ধ্বংস করবেন। পরেও পাওয়া গেলে ওই বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার হবে বলে সতর্ক করেন মেয়র।

“প্রথমবার আমরা এগুলো ধ্বংস করব। এছাড়া এডিস মশার প্রজননক্ষেত্র কীভাবে ধ্বংস করতে হয় তাও শিখিয়ে দিবে আমাদের কর্মীরা।

“নাগরিকদের আমরা উদ্বুদ্ধ করব যেন তারা বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রাখে। এরপরও কোনো বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পেলে আমরা হয়ত কঠোর হতে পারি।”

গতবছর ঢাকায় চিকুনগুনিয়া ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি সিটি করপোরেশনের ‘জানা ছিল না’ মন্তব্য করে মেয়র বলেন, এবার যেন এ রোগ ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কাজ শুরু করেছে।

“গত বছর আমরা অপ্রস্তুত ছিলাম। তবে ব্যাপক পদক্ষেপ নিয়ে আমরা তা সামাল দিতে পেরেছিলাম। এই রোগ যেন আবার আমাদের নাগরিকদের মাঝে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য আমরা আগাম প্রস্তুতি এবং কার্যক্রম হাতে নিয়েছি।”

রাজধানীর সাত মসজিদ রোডে সোমবার এডিস মশার লার্ভা শনাক্ত ও ধ্বংস কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন। ছবি: মাহমুদ জামান অভি

‘চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গুমুক্ত’ দক্ষিণ সিটি করপোরেশন গড়ার প্রত্যাশার কথা জানিয়ে এডিস মশার বিস্তার রোধে নাগরিকদের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র।

“চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গুর লার্ভা ডোবা নালায় হয় না। এগুলো বাড়ির আঙিনায়, ‍ফুলের টবসহ নানা জায়গায় হয়। এজন্য নাগরিকদের সচেতনতা খুবই জরুরি। সিই সঙ্গে সিটি করপোরেশনের কর্মীরাও কাজ করবে।”

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলসহ ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলাল, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শেখ মো. সালাহউদ্দিন, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. জাহিদ হোসেনসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর