জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জ্যঁ পিঁয়ের ল্যাকরঁ রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি একথা বলেন।
সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিশ্ব শান্তি এবং স্থিতিশীলতার জন্য বাংলাদেশ সব সময়ই জাতিসংঘের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সৈন্য ও পুলিশ সদস্য পাঠাতে প্রস্তুত রয়েছে।
“জাতিসংঘের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও প্রস্তুতিমূলক পদক্ষেপে সহযোগিতার জন্যও তৈরি রয়েছে বাংলাদেশ।”
শান্তিরক্ষা মিশনের সংস্কার নিয়ে নয় দফা প্রস্তাব বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন শেখ হাসিনা। এ বিষয়ে বাংলাদেশের সমর্থনের কথাও জানান তিনি।
আলোচনায় রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বিষয়ও উঠে আসে জানিয়ে ইহসানুল করিম বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে সংলাপের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। মিয়ানমারও বাংলাদেশ থেকে তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টিতে সম্মত হয়েছে। কিন্তু তারা এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না।”
প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশের জন্য ‘বিরাট বোঝা’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা স্থানীয় জনগণের জন্য নানা সমস্যার সৃষ্টি করছে।
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত বাংলাদেশি বিশেষ করে নারী সৈনিক এবং পুলিশ সদস্যদের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালনকালে নিহত বাংলাদেশিদের কথাও স্মরণ করেন তিনি।
বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে জাতিসংঘের সমর্থন অব্যাহত রাখার বিষয়েও প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন জ্যঁ পিঁয়েরে ল্যাকরঁ।
সাক্ষাতকালে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাহফুজুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
তিন দিনের সফরে রোববার ঢাকা পৌঁছেছেন ল্যাকরঁ। পাঁচ সদস্যের একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন জাতিসংঘ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি।