বিষয়গুলো নিয়ে সচেতনতা তৈরিতে ভূমিকা রাখায় রোববার রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের চলচ্চিত্র প্রদর্শনী মিলনায়তনে তিনজন সাংবাদিককে সম্মাননা স্মারক ও সম্মানী এবং অপর নয়জনকে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয় সংস্থাটির পক্ষ থেকে।
আইইডির আয়োজনে জানানো হয়, নারী, পরিবেশ এবং জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু- এই তিন বিভাগে ২০১৭ সালের এপ্রিল থেকে গত এপ্রিলে প্রকাশিত প্রতিবেদন জমা পড়েছিল ৮৭টি।
প্রতি বিভাগে চারটি করে মোট ১২টি প্রতিবেদন প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়। এর মধ্য থেকে প্রতি বিভাগে একটি করে মোট তিনটি প্রতিবেদনকে ‘সেরা প্রতিবেদন’ নির্বাচিত করা হয়।
জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু বিষয়ে দৈনিক সমকালের রাজীব নূর, নারী নিয়ে ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের ফারজানা আক্তার এবং পরিবেশ বিষয়ে ঢাকা ট্রিবিউনের সোহেল মামুনকে সেরা প্রতিবেদনের জন্য সম্মাননা স্মারক ও ১০ হাজার টাকা করে সম্মানী দেওয়া হয়।
এছাড়াও তিনটি বিভাগে সেরা প্রতিবেদনের জন্য আরও নয়জন সাংবাদিককে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়।
নারী বিভাগে গত বছর প্রকাশিত ‘কাঠগড়ায় যখন প্রিয় সন্তান’ প্রতিবেদনের জন্য সম্মাননা স্মারক পেয়েছেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের কাজী নাফিয়া রহমান।
জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু বিভাগে সম্মাননা স্মারক পেয়েছেন চ্যানেল আইয়ের লুৎফর রহমান সোহাগ, ডিবিসি নিউজের ইমরান হাসান রাব্বী এবং দৈনিক আমাদের সময়ের শাকিল মুরাদ।
পরিবেশ বিষয়ে সম্মাননা স্মারক পেয়েছেন প্রথম আলোর দেবাশীষ সাহা রায়, দৈনিক আমার সংবাদের ফারুক আলম ও পরিবর্তন ডটকমের আতিক রহমান পূর্ণিয়া।
সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, “এই সম্মাননা সাংবাদিক বন্ধুদের আরও বেশি উৎসাহিত করবে।”
শিশু-কিশোর সংগঠক ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, “সাংবাদিকরা আমাদের চক্ষুস্বরূপ। চোখ অন্ধ হলে যেমন শরীর অন্ধ হয়, তেমনি সাংবাদিক অন্ধ হলে সমাজও অন্ধ হয়।
“তাই দৃষ্টিবন্ধুরা ভালো হলে আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্র উন্নতির দিকে পা বাড়ায়।”
আগামী দিনগুলোতে এ ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে আইইডির নির্বাহী পরিচালক নুমান আহমেদ খান বলেন, “টেকসই ও ভারসাম্য উন্নয়নের জন্য আমাদের সবাইকে পরিবেশ, নারী এবং জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু ইস্যুতে সংবেদনশীল হওয়া প্রয়োজন।
“এক্ষেত্রে সাংবাদিকরা সবচেয়ে অগ্রণী ও কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে।”
প্রথমবারের মতো চালু হওয়া এ সম্মননা ভবিষ্যতে অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন তিনি।
জনউদ্যোগের সদস্য সচিব ও আইইডি’র সহযোগী সমন্বয়কারী তারিক হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শান্তনু মজুমদার, জনউদ্যোগের আহ্বায়ক ডা. মুশতাক হোসেন, কালের কণ্ঠের সাংবাদিক নিখিল ভদ্র, আইইডির সমন্বয়কারী জ্যোতি চট্টোপাধ্যায়, সহকারী সমন্বয়কারী সুবোধ এম বাস্কে ও হরেন্দ্র নাথ সিং প্রমুখ।