শুক্রবার গাজীপুরের রওশন রোড এলাকায় ধানের শীষের প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকারের পক্ষে গণসংযোগে এসে এমন মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মোশাররফ বলেন, “খুলনায় তাদের কৌশল আমরা দেখেছি। গাজীপুরে তাদের তেমন নীরব ভোট ডাকাতি প্রতিহত করার জন্য আমাদের নেতাকর্মীরা প্রস্তুত।”
গত ১৫ মে খুলনা সিটি নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক প্রায় ৬৬ হাজার ভোটে বিএনপির প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে হারিয়ে মেয়র নির্বাচিত হন।
ওই নির্বাচনে বড় কোনো গোলযোগ বা সহিংসতার ঘটনা না ঘটলেও বেশ কিছু কেন্দ্রে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়ার কথা বলেছেন নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা। আর বিএনপির অভিযোগ, খুলনায় ‘নীরব ভোট ডাকাতি’ হয়েছে।
গণসংযোগের সময় সিটি করপোরেশন নির্বাচনের চেয়ে বছর শেষে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনের ওপর বেশি জোর দেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা মোশাররফ।
তিনি বলেন, “সরকার আমাদের সঙ্গে আলোচনা করুক বা না করুক, বিএনপি এখন সবচেয়ে বড় জনপ্রিয় দল। আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে, সংসদ ভেঙে দিয়ে এবং সেনাবাহিনী মোতায়েনের মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। জনগণের দাবিও সেটা।
সরকার ‘জনগণের দাবি’ মেনে নিলে বিএনপি খালেদা জিয়াকে ‘মুক্ত করার মাধ্যমে’ আসন্ন একাদশ জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেবে বলে মন্তব্য করেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন।