ওইদিন সকাল ১১টায় বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোতে (ব্যানবেইস) এই সভা হবে বলে বৃহস্পতিবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের এক নোটিসে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক-২) জাবেদ আহমেদ যৌথসভায় সভাপতিত্ব করবেন।
বেসরকারি স্কুল-কলেজ এমপিওভুক্তির লক্ষে প্রতিষ্ঠান বাছাই করতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভগের অতিরিক্ত সচিবকে (বেসরকারি মাধ্যমিক) আহ্বায়ক করে গত বুধবার নয় সদস্যের কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এছাড়া এমপিওভুক্তির শর্ত পূরণ করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা তৈরি করতে অনলাইনে আবেদন গ্রহণ ও ব্যবস্থাপনার জন্য ব্যানেবেইস মহাপরিচালককে সভাপতি করে আট সদস্যের আরেকটি কমিটি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বাজেটে আলাদা করে বরাদ্দ না থাকলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও করা হবে বলে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের ঘোষণার পর দুটি কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে নতুন করে স্কুল-কলেজ এমপিওভুক্তির কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।
‘আন্দোলন চলবে’
শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির কার্যক্রম শুরু হতে চললেও আন্দোলন থেকে না সরার ঘোষণা দিয়েছে নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশন।
ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার বৃহস্পতিবার বিকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, এমপিও নিয়ে সোমবার দুই কমিটি সভায় বসলেও তাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
স্বীকৃতিপ্রাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবি জানিয়ে শুক্রবার সকালে রাষ্ট্রপতিকে স্মারকলিপি দেওয়া হবে জানিয়ে এই শিক্ষক নেতা বলেন, “আমরা শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করব।
“এমপিও নিয়ে রোববার সরকারের অবস্থান পর্যবেক্ষণ করব। যদি সরকারের পদক্ষেপ আমাদের কাছে সন্তোষজনক মনে না হয় তবে সোমবার সকাল থেকে আমরণ অনশনে যাব।”
২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে কয়েকটি শর্ত দিয়ে নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করতে আলাদা বরাদ্দ রাখা হবে বলে বাজেটের আগে জানিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের শেষ বাজেটে এমপিও নিয়ে কোনো ঘোষণা না থাকায় গত ১০ জুন থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আধা বেলা করে প্রতিবাদী কর্মসূচি পালন করছিলেন স্বীকৃতিপ্রাপ্ত নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা। সড়কে ঈদের নামাজও পড়েন তারা।
গত ১৮ জুন থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন এসব শিক্ষক-কর্মকর্তা।
একই দাবিতে গত ৩১ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত অনশন করেন স্বীকৃতিপ্রাপ্ত নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা। পরে প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসে অনশন ভাঙেন তারা।
দেশে বর্তমানে সাড়ে সাত হাজার নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে, এর মধ্যে ৫ হাজার ২৪২টি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার সরকারি স্বীকৃতি আছে।