বুধবার ‘জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমি বিল-২০১৮’ সংসদে উত্থাপন করেন পরিকল্পনামন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল। পরে বিলটি ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
১৯৬১ সালের ‘গভর্মেন্ট এডুকেশনাল অ্যান্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউট’ অধ্যাদেশ বাতিল করে নতুন আইন করতে বিলটি উত্থাপন করা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির আগে নাম ছিল পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমি। পরে ২০০৯ সালে নতুন নাম হয় জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমি (এনএপিডি)।
এ প্রতিষ্ঠানের কাজের পরিধি বাড়ায় এবং বর্তমানে রাষ্ট্রায়ত্ত ইন্সটিটিউশনগুলো আলাদা আইনে পরিচালিত হচ্ছে বলে আলাদা আইনের করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, এনএপিডি হবে সংবিধিবদ্ধ সংস্থা, যার ১৫ সদস্যর একটি বোর্ড থাকবে। পরিকল্পনামন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী এর চেয়ারম্যান হব্নে। তবে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী একইসঙ্গে মন্ত্রণালয়ের দয়িত্বে থাকলে প্রতিমন্ত্রী ভাইস চেয়ারম্যান হবেন এবং পরিকল্পনা বিভাগের সচিব বোর্ডের সদস্য হবেন। প্রতিমন্ত্রী না থাকলে সচিব ভাইস চেয়ারম্যান হবেন।
এ বোর্ডের আলাদা তহবিল থাকবে এবং সরকারের সার্বিক নির্দেশনায় এর হিসাব পরিচালিত হবে। প্রয়োজনে সরকার এ আইনে বিধি করতে পারবে এবং বোর্ড সরকারের অনুমতি নিয়ে প্রবিধান তৈরি করতে পারবে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, “একাডেমির প্রধান নির্বাহী সরকারের একজন সচিব। একাডেমির প্রতিষ্ঠালগ্নে যে উদ্দেশ্য বা কার্যাবলি ছির বর্তমানে তা আরও প্রসারিত হয়েছে। বর্তমানে একাডেমিতে গবেষণা ও প্রকাশনা নামে একটি নতুন শাখা খোলা হয়েছে। তাই একাডেমির জন্য একটি পৃথক আইন হওয়া সমীচীন।”