ঈদের ছুটি শুরুর আগেরদিন বৃহস্পতিবার সকালের প্রায় নীরব সদরঘাট দুপুরের পর মানুষের ভিড়ে জেগে উঠেছে।
অফিস ছুটির পর ভিড় বাড়বে বলে সকালে লঞ্চকর্মীরা যে আভাস দিয়েছিলেন, বিকালে তেমন চিত্রই দেখা গেছে সদরঘাটে।
বেলা বাড়ার সাথে সাথে দক্ষিণবঙ্গগামী যাত্রীদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে সদরঘাটে। বিকাল থেকে শুরু হয় রীতিমত জনস্রোত। টার্মিনাল কর্মীদের এসময় যাত্রীদের ঢল সামাল দিতে গলদঘর্ম হতে হয়।
সবগুলো টার্মিনালেই দেখা গেছে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। বিভিন্ন জায়গা থেকে লঞ্চগুলো ঘাটে আসামাত্রই ভরে যাচ্ছে যাত্রীতে। কোথাও তিল ঠাঁই নেই।
এমভি টিপু কোম্পানির ব্যবস্থাপক ফারুক হোসেন বলেন, “গত দুইদিন তেমন যাত্রী না হওয়ায় তেলের পয়সা ওঠাতেই কষ্ট হয়েছে। পোশাক কারখানাগুলোতে পর্যায়ক্রমে ছুটি দিলে এ অবস্থা হতো না। আজ সবকিছু ছুটি হওয়ায় এত ভিড় হয়েছে।”
সুন্দরবন গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক আবুল কালাম বলেন, “আমাদের লঞ্চগুলো বড় বড়। সব যাত্রীকেই আমরা নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারব।”
বিআইডব্লিউটিএর পরিবহন পরিদর্শক (টিআই) এবিএস মাহমুদ জানান, বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত ৯৫টি লঞ্চ সদরঘাট থেকে ছেড়ে গেছে। বুধবার ছাড়া হয় ১২২টি লঞ্চ।
এদিকে যাত্রীদের নিরাপত্তায় সদরঘাটে ব্যাপক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোতয়ালী থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মওদুদ হাওলাদার।
২৬১ জন পুলিশ সদস্য পালা করে কাজ করছেন জানিয়ে তিনি বলেন, “নিরাপত্তায় কোনো সমস্যা হবে না।”
এছাড়া নৌ-পুলিশ, ঢাকা মহানগর পুলিশ, কোস্ট গার্ড, র্যাব সদস্যরাও সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। খোলা হয়েছে বিআইডব্লিউটিএ ও মন্ত্রণালয়ে তিনটি নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র।পুরো সদরঘাটকে আনা হয়েছে সিসি ক্যামেরার আওতায়।
মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা সার্বিক পরিস্থিতি মনিটরিং করছেন। এছাড়া পালা করে দায়িত্ব পালন করছেন কয়েকজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।