ঈদ এলে নিজেরা জড়ো হন এক জায়গায়, গাড়ি ভাড়া করে রওনা হন গ্রামে পরিবারের উদ্দেশে। একই এলাকার অনেক মানুষ বহুদিন ধরে এভাবে একসঙ্গে ধরেন বাড়ির পথ।
বুধবার রাত ১০টার দিকে ফার্মগেইটের খামারবাড়ি এলাকায় দেখা হয় এমন একদল মানুষের সঙ্গে। ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় থাকলেও একসঙ্গে বাড়ি যাচ্ছিলেন তারা।
টিঅ্যান্ডটিতে একটি ছোট চাকরি করেন আবুল হোসেন। পশ্চিম রাজাবাজারে স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন তিনি। পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে রওনা করেছেন তিনি।
শবে কদরের ছুটির দিন বুধবার, পরদিন একদিন অফিস খোলা। বৃহস্পতিবার দিন পার হলেই শুরু হবে তিন দিনের ঈদুল ফিতরের ছুটি।তাই বুধবারই ঢাকা ছেড়ে বাড়ি গেছেন বহু মানুষ।
আবুলের সঙ্গে থাকা আরেকজন ধোবাউড়ারই মোহাম্মদ জামাল; ঢাকায় দিনমজুরি করে সংসার চালান চল্লিশের কোঠার এই ব্যক্তি।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ১৯ হাজার টাকায় তারা স্বাধীন এক্সপ্রেসের বাসটি ভাড়া করেছেন। প্রতি সিটের জন্য গুণতে হবে ৫০০ টাকা করে।
“আমাদের বাড়ি একেবারে সীমান্তে। ভাড়া একটু বেশি হলেও অসুবিধা নাই। ঈদ আনন্দ করতে যাচ্ছি। গান গাইতে গাইতে আনন্দ করে বাড়ি যাব।”
সোফিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় বা বস্তিতে আমাদের লোকজন একসঙ্গে থাকে। ঈদ এলে তারা একসঙ্গে বাড়ি যায়। আমিও তাদের সঙ্গে বাড়ি যাচ্ছি।”
তাদের বাসটি ১৮ হাজার টাকায় ভাড়া করায় প্রতি সিটের জন্য ৫০০ টাকার কাছাকাছি দিতে হতে পারে বলে জানান তিনি।
ঘরমুখো এসব মানুষের সঙ্গে কথা বলার সময় দুটি বাসের ছাদে রাজধানী থেকে কেনা বিভিন্ন মালামাল বোঝাই করতে দেখা যায় বাসের চালক ও হেলপারকে।
“আমরা রিজার্ভ পাওয়ায় এদেরকে নিয়ে যাচ্ছি। পথ থেকে দরদাম করে ভাড়া ঠিক করা হয়েছে।”
দুই বাসে বাড়ি যাওয়ার প্রস্তুতির সময় খামারবাড়ি এলাকায় অপেক্ষায় ছিলেন আরও অনেকে। রিক্সায় কিংবা অন্য যানবাহনে এসে তাদের সঙ্গে যোগ দিচ্ছিলেন কেউ কেউ।
ধোবাউড়া যেতে অপেক্ষায় থাকা একজন স্বগতোক্তি করে বলেন, “দুইটা বাসতো ভর্তি হয়ে গেছে। যেভাবে মানুষ জড়ো হচ্ছে আরও চার-পাঁচটি বাস লাগতে পারে।”