ট্রেন ছাড়তে দেরি, বাসে স্বস্তি

ঈদের ছুটির একদিন বাকি থাকলেও কমলাপুর রেল স্টেশন ও সদরঘাটে উপচেপড়া ভিড় হয়েছে ঘরমুখো মানুষের। ভেতরে জায়গা না পেয়ে ট্রেনের ছাদে চড়ে বাড়ির উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন অনেকে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 June 2018, 06:20 PM
Updated : 13 June 2018, 06:34 PM

বুধবার কমলাপুর থেকে ট্রেন ছাড়তে দেরিতে যাত্রীদের কণ্ঠে অসন্তোষ ঝরলেও বাসযাত্রায় স্বস্তির কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এদিন বাড়তি ভাড়া নেওয়ায় সায়েদাবাদে তিনটি পরিবহনের কাউন্টার বন্ধ করে দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। আর সদরঘাটে ছাদে যাত্রী উঠানোয় জরিমানা করা হয়েছে একটি লঞ্চের মালিকপক্ষকে।

বুধবার ট্রেনে বাড়ির উদ্দেশে যাত্রা করছেন গত ৪ জুন অগ্রিম টিকেট কেনা যাত্রীরা। সকালে রাজশাহী, দেওয়ানগঞ্জ, পার্বতীপুর, লালমনিরহাট ও খুলনার উদ্দেশে ছেড়ে যায় পাঁচটি বিশেষ ট্রেন। কমলাপুর থেকে সারা দিনে ছেড়েছে ৫৯টি ট্রেন।

ঈদের সময় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটের ১০টি লোকাল ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকছে বলে জানিয়েছেন কমলাপুর স্টেশনের ব্যবস্থাপক সিতাংশু চক্রবর্ত্তী।

নির্ধারিত সময়ে ট্রেন ছাড়ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে যাত্রীদের।

দেওয়ানগঞ্জ স্পেশাল ট্রেনের যাত্রী ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের কর্মী তারা মিঞা বলেন, “সকাল ৮টায় এখানে এসে বসে আছি। কিন্তু ট্রেন ছাড়তে দেরি করছে। এখন তো আরও দেরি করবে। কখন পৌঁছাব জানি না।”

ট্রেনের ছাদ আর ইঞ্জিনের সামনেও যাত্রী নিয়ে বুধবার বিকালে ঢাকার বিমানবন্দর স্টেশন থেকে ছেড়ে যায় রাজশাহী এক্সপ্রেস। ছবি: মোস্তাফিজুর রহমান

ট্রেন ছাড়তে দেরি হওয়া নিয়ে যাত্রীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দেখা যায়, সকালে কয়েকটি ট্রেন নির্ধারিত সময়ের পর কমলাপুর স্টেশন ছেড়েছে। এরমধ্যে ঈদের বিশেষ ট্রেনের দুটিই ছাড়তে দেরি করে।

দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল ট্রেনের ছাড়ার সময় ছিল সকাল পৌনে ৯টা, তা ছেড়েছে নির্ধারিত সময়ের পৌনে এক ঘণ্টা পর। লালমনিরহাটের লালমনি ঈদ স্পেশাল ট্রেন বেলা সোয়া ৯টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও ছাড়ে সকাল ১১টায়।

রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেন সকাল ৯টায় ছাড়ার কথা থাকলেও তা প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে যায় সকাল ১০টা ১০ মিনিটে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস কমিউটার ট্রেন সকাল সাড়ে ৯টার পরিবর্তে ২০ মিনিট দেরি করে বেলা ৯টা ৫০ মিনিটে ছেড়ে গেছে। জামালপুরের তারাকান্দি রুটের অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস ট্রেনটিও আধা ঘণ্টা দেরি করে সকাল সোয়া ৯টায় ছেড়েছে।

এছাড়া দিনাজপুরের একতা এক্সপ্রেস ২০ মিনিট দেরি করে বেলা ১০টা ২০ মিনিটে ঢাকা ছেড়েছে।

নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের ছাড়ার সময় সকাল ৮টায়। তবে ট্রেনটি আধা ঘণ্টা দেরি করে সকাল সাড়ে ৮টায় গেছে।

অন্যান্য দিনের চেয়ে বুধবারে ভিড় বেশি হয়েছে বলে জানান সিতাংশু চক্রবর্ত্তী। ঠিক সময়ে ট্রেন না ছাড়ার অভিযোগ নিয়ে তিনি বলেন, “কয়েকটি ট্রেন সামান্য দেরি করেছে, এটা বড় কিছু নয়।

“বিভিন্ন কারণে কয়েকটি ট্রেন দেরি করে গেছে। তবে ঈদের সময় ১৫-২০ মিনিট দেরি করে যাওয়া বড় কিছু নয়। এটা ঠিক হয় যাবে। ”

এদিকে ঈদযাত্রায় ট্রেনের যাত্রীসেবা নিয়েও সন্তুষ্ট নন যাত্রীরা। 

অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস ট্রেনে ময়মনসিংহ যাচ্ছিলেন একটি ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি আবদুল আলীম। ঈদে বাড়ি যেতে পেরে খুশি হলেও রেলসেবা নিয়ে অসন্তোষ জানান তিনি।

আলীম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ট্রেনের ভেতরের অবস্থা ভালো না। দেখেন আমরা প্রথম শ্রেণির চেয়ার কোচের টিকেট কিনেছি। কিন্তু সিট ভাঙা। আবার কয়েকটি সিট পেছনে কাত হয়ে যায়। সোজা হয়ে বসা যায় না। আবার প্রথম শ্রেণিতে অনেক দাঁড়ানো যাত্রী নেওয়া হয় বলে প্রচণ্ড ভিড়ে কষ্ট হয়।”

ট্রেনের সেবা আরও উন্নত করা সময়ের দাবি বলে মনে করেন অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস ট্রেনের আারেক যাত্রী আব্দুল খালেক। অবসরপ্রাপ্ত এই সরকারি কর্মকর্তা বলেন, ঈদের আগে টিকেট কেনা থেকে শুরু হয় ভোগান্তি।

“টিকেট কেনার জন্য মানুষকে কি ভোগান্তিটা পোহাতে হয়! ছোট্ট একটা জায়গায় হাজার হাজার মানুষ। সেখানে সারা দিন দাঁড়িয়ে থেকেও অনেক সময় টিকেট পাওয়া যায় না। আর রেলের কোচ-বগি এসবের সঙ্কট তো আছেই। এসব বাড়ানো খুব জরুরি।”

তবে এসব কষ্ট বাড়ি যাওয়ার আনন্দের কাছে ‘কিছুই না’ মিরপুরের গৃহিনী শামীমা মেহফুজের কাছে। একতা এক্সপ্রেস ট্রেনের এই যাত্রী পরিবারের সঙ্গে দিনাজপুর যাচ্ছেন।

“বাড়িতে বাবা-মা ও শ্বশুর-শাশুড়ি আছেন। এছাড়া আত্মীয়স্বজন বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে ঈদ করার আনন্দই তো অন্যরকম। এছাড়া ঈদের পরে আমার ছোটভাইয়ের বিয়ে। গরম অনেক, এজন্য কিছুটা কষ্ট হচ্ছে তবে এটা খুব বেশি কিছু না।”

বেলা আড়াইটায় কমলাপুর রেলস্টেশনে যান রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক। তিনি বিভিন্ন ট্রেন ঘুরে দেখেন। ঈদযাত্রা নিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন।

এ সময় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোফাজ্জল হোসেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আমজাদ হোসেনসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পরে রেলমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, “এখন পর্যন্ত রেলের সব কিছু ঠিকঠাক মতো চলছে। সকাল থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত কমলাপুর থেকে ৩০টির মতো ট্রেন ছেড়ে গেছে। এর মধ্যে শুধু সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ৪৫মিনিট দেরি করেছে।”

ঈদে রেলওয়ে দৈনিক প্রায় তিন লাখ যাত্রী পরিবহন করছে বলে জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, “আমাদের সম্পদ সীমিত। এই সম্পদ দিয়েই আমরা সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। ঈদে মানুষজন যেন নিরাপদে নির্বিঘ্নে বাড়ি যেতে পারে সেজন্য আমাদের কর্মীরা সোচ্চার রয়েছে। আশা করি সবাই ঠিকমতো বাড়ি পৌঁছুতে পারবেন।”

সড়কে ভোগান্তির আশঙ্কা থাকলেও বাসেই স্বস্তি

বাস টার্মিনালগুলোতে এখন মানুষের ঢল। বুধবার রাজধানীর গাবতলী ও কল্যাণপুর এলাকার বাস টার্মিনালগুলোতে ঘুরে পাওয়া গেছে এমন চিত্র।

যাত্রীরা বলছেন, অগ্রিম টিকেটের যাত্রীরা ঠিক সময়ে ঢাকা ছেড়ে রওনা করছেন। বাড়তি টাকা গুণে পাওয়া যাচ্ছে তাৎক্ষণিক টিকেটও।

উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলমুখী বাসের কাউন্টার ব্যবস্থাপকরা জানান, বুধবার দুপুর পর্যন্ত মহাসড়কে বড় ধরনের কোনো যানজটে পড়তে হয়নি। এই অবস্থা চলতে থাকলে এবার ঈদযাত্রা স্বস্তিরই হবে।

শবে কদরের ছুটির পরের দিন বৃহস্পতিবার অফিস খোলা থাকবে। এই দিন পার হলেই শুরু হবে ঈদুল ফিতরের তিন দিনের ছুটি।

বর্ষা মৌসুমের শুরুতে এবার ঈদযাত্রায় সড়কে ভোগান্তির আশঙ্কা ছিল অনেকের। তার পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেন সড়কমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি জানান, বিভিন্ন স্থানে সড়কে নির্মাণকাজ স্থগিত রাখার পাশাপাশি মেরামতকাজ দ্রুত শেষ করা হয়।

দুপুর সোয়া ১২টায় কল্যাণপুরে শ্যামলী পরিবহনের কাউন্টার থেকে বেলা ২টার টিকেট কেটে অপেক্ষা করছিলেন রংপুরের যাত্রী হারুনুর রশীদ। তাৎক্ষণিক টিকেট পেতে ৬০০ টাকার জায়গায় ২০০ টাকা বেশি গুণতে হয়েছে তাকে।

ক্ষোভ প্রকাশ করে এসিআই কনজ্যুমারসের এই কর্মী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অগ্রিম টিকেট বিক্রির সময় বলেছিল, ১৩ তারিখের টিকেট নাই। এখন কয়েক কাউন্টার ঘুরে এখানে এসে টিকেট পেলাম। বেশি দামে বিক্রির জন্য রেখে দিয়েছিল।”

টিকেট কেনায় অতিরিক্ত অর্থ খরচ হলেও এখন পর্যন্ত রাস্তার পরিস্থিতি ভালো থাকার কথা তুলে ধরে ‘আনন্দ নিয়ে’ বাড়ি ফিরতে পারবেন বলে আশা করেন তিনি।

কল্যাণপুর থেকে বেলা ১টার শ্যামলী পরিবহনের বাস গাইবান্ধার উদ্দেশে ছেড়ে যায় আধ ঘণ্টা পর। সেই বাসের যাত্রী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা হাসনাত শাহীন।

বাসের অপেক্ষায় থাকার সময় শিশুকন্যা শায়ানকে চিপস কিনে দিতে দোকানে গেলে কথা হয় তার সঙ্গে। স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে গাইবান্ধার পলাশবাড়িতে রওনা করছেন শাহীন।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বাস কাউন্টারে চলে আসছে। আধ ঘণ্টা দেরি হচ্ছে এটা তত দেরি নয়। দেখি রাস্তার পরিস্থিতি কেমন থাকে।”

এবারে পথে ঘরমুখো মানুষের ভিড় অন্যবারের তুলনায় কম হওয়ার জন্য ‘আগে-ভাগে মানুষ বাড়ির পথ ধরাকে’ কারণ হিসাবে দেখছেন হানিফ এন্টারপ্রাইজের কল্যাণপুর কাউন্টারের ম্যানেজার একেএম রাইসুল আলম সবুজ।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গত ৭ তারিখ থেকে আমাদের অগ্রিম টিকেটের যাত্রীরা যাচ্ছে। অনেক মানুষ আগেভাগে বাড়ি চলে গেছে। আজকেও তেমন ভিড় নাই। আগামীকাল বিকেলের দিকে এর চেয়ে কিছুটা বাড়তে পারে।”

রাস্তায় যানজটের মুখোমুখি না হওয়ায় ঠিক সময়ে ফিরতি গাড়ি ফিরেছে এবং সময়মতো ছেড়ে গেছে বলে জানান সবুজ।

এদিকে যাত্রী কম হওয়ায় মনভার ছোট পরিবহন কোম্পানিগুলোর। এর মধ্যে একটি বরিশাল রুটের শাপলা ট্রান্সপোর্ট। পাটুরিয়া থেকে লঞ্চ পারাপারের পর অন্যপ্রান্ত থেকে আরেক বাসে যাত্রীদের গন্তব্যে পাঠায় তারা।

গাবতলীতে শাপলা ট্রান্সপোর্টের কর্মী জাকির হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যাত্রী নাই। এত কম যাত্রী কখনো দেখি নাই। সামনে তো দুয়েক দিন আছে, দেখি কেমন হয়।”

মহাসড়কে যানজট না থাকলেও পাটুরিয়া পর্যন্ত আমিনবাজার, সাভার ও নবীনগর এলাকার যানজট কিছুটা ভোগাচ্ছে বলে জানালেন চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্সের কর্মী শামসুজ্জামান স্বপন।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যাত্রীদের চাহিদার কারণে ঢাকার অনেক লোকাল গাড়ি এখন ফেরিঘাটের দিকে যাত্রীদের নিয়ে যাচ্ছে। সে কারণে ওই রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় কিছুটা যানজট হচ্ছে। তবে এটা সহনীয়।”

বুধবার সকালে গাবতলীতে বাস কাউন্টার পরিদর্শনে যান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের। সেখানে কাউন্টার ব্যবস্থাপক ও যাত্রীদের সঙ্গেও কথা বলতে দেখা যায় তাকে।

পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “সারা দেশের রাস্তার অবস্থা গত কয়েক বছরের তুলনায় অনেক ভালো।

”আমি কথা দিয়েছি, কথা রেখেছি।”

কাদের বলেন, “সড়ক সম্পর্কে কিছু বিভ্রান্তি ছড়ানোর প্রেক্ষিতে আমি স্পেশাল কেয়ার নিয়েছি এবারের ঈদে। এবার আমি প্রস্তুতি গত কয়েকবারের চাইতে জোরদার করেছি।”

পরে বিকালে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল পরিদর্শন করেন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সে সময় বাড়তি ভাড়া নেওয়ার জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালতের তিনটি পরিবহনের কাউন্টার বন্ধ করার কথা জানান তিনি।

এগুলো হল- সায়দাবাদ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রুটে চলাচলকারী হিমাচল পরিবহন এবং নোয়াখালীর মাইজদী অভিমুখী চলাচলকারী একুশে পরিবহন ও রয়েল পরিবহন।

যাত্রী চাপে সদরঘাট
বুধবার বিকাল হতে ঘরমুখো যাত্রীদের বাড়তি চাপ দেখা গেছে ঢাকার সদরঘাটে।
বিআইডব্লিউটিএর পরিবহন পরিদর্শক (টিআই) হুমায়ূন কবির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সকালে ঘাটে যাত্রীর চাপ কিছুটা ছিল আর দুপুরে কমে যায় যাত্রী সংখ্যা। তবে বিকালে চাপ বেড়ে যায়।”
এদিন বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ৫৪টি লঞ্চ সদরঘাট থেকে ছেড়ে যায়। আগের দিন ছেড়ে যায় ৯৬টি লঞ্চ।

ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের ভিড় সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে। ছবি: আসিফ মাহমুদ অভি

ঈদ উপলক্ষে সোমবার থেকে বিশেষ কার্যক্রম শুরু করেছে বিআইডব্লিউএ। বিকাল ৪টার দিকে ছাদে যাত্রী উঠানোর অপরাধে বরগুনাগামী এমভি মানিক ৯ লঞ্চ কর্তৃপক্ষকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

হুমায়ূন কবির বলেন, উপরের ছাদে যাত্রী উঠানোর অপরাধে এ জরিমানা করা হয়।

ঈদযাত্রায় শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা রক্ষায় ‘ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে’ বলে জানিয়েছেন নৌ-মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ভোলানাথ দে।

বিকালে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে দক্ষিণবঙ্গমুখী যাত্রীদের ভিড়। ছবি: আসিফ মাহমুদ অভি

তিনি বলেন, ৫০ জন নৌ পুলিশ, ঢাকা মহানগর পুলিশ, কোস্টগার্ড ও র‌্যাব রয়েছে সার্বক্ষণিক দায়িত্বে। সদরঘাট ছাড়াও বিআইডব্লিউটিএ এবং মন্ত্রণালয়েও কন্ট্রোল কক্ষ খোলা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা সার্বিক পরিস্থিতি মনিটর করছেন।
এছাড়া সদরঘাটে পালাবদল করে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
সদরঘাটের পুরো চিত্র সিসি ক্যামেরায় মনিটরিং করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

আরও খবর