বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে আগামী অর্থবছরের জন্য চার লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী মুহিত।
দুদকের জন্য ২০১৭-১৮ অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেট বরাদ্দ ছিল ১০১ কোটি টাকা, যা সংশোধিত বাজেটে ৯৪ কোটি টাকা দাঁড়ায়।
আগামী এ বাজেটে দুদকের পরিচালন খাতে ৮৯ কোটি টাকা এবং উন্নয়ন খাতে ২৯ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।
বাজেট বক্তৃতায় দুর্নীতি দমন নিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন, “দেশকে ক্রমান্বয়ে সব ধরনের দুর্নীতি থেকে মুক্ত করার লক্ষ্যে আমরা আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।”
দুর্নীতি দমন কমিশনের স্বাভাবিক আইনগত কার্যক্রম চলমান রাখার পাশাপাশি গণসচেতনতা সৃষ্টি এবং দুর্নীতিবিরোধী মনোভাবসম্পন্ন ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গড়ে তোলার ওপর সরকার জোর দিচ্ছে বলে তিনি জানান।
মুহিত বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার ও জনগণের সম্পৃক্ততা বাড়ানোর মাধ্যমে জবাবদিহির ক্ষেত্র সম্প্রসারণ করা হচ্ছে।
“সমাজের সৎ ও স্বচ্ছ ব্যক্তিদের নিয়ে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত ক্রিয়াশীল দুর্নীতি দমন কমিটিসমূহ বিভিন্ন ধরনের প্রচারণামূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে চলেছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মধ্যে দুর্নীতিবিরোধী মনোভাব গড়ে তোলার লক্ষ্যে সারা দেশের প্রত্যন্ত এলাকার স্কুল ও মাদ্রাসাসহ সকল উপজেলার ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ‘সততা সংঘ’ গঠন করে শুদ্ধাচার চর্চার প্রসার ঘটানো হচ্ছে।”
দুর্নীতি প্রতিরোধ কার্যক্রমে সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করতে গণশুনানি হয়ে থাকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা অফিসের কর্মকর্তা, বিশেষ করে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সাথেও সরাসরি সংযোগ স্থাপন করা হচ্ছে।”
দুদকের হটলাইন ১০৬ নম্বরে দেশের যে কোনো স্থান থেকে যে কেউ দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরাসরি কমিশনে ফোন করে অভিযোগ জানাতে পারছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী।
দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে ‘ব্যক্তির বিবেচনার’ ওপর নির্ভরতা কমিয়ে আনা হচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, “তাই যেখানেই সুযোগ আছে সেখানেই তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে নানারকম আর্থিক লেনদেনে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার দুর্নীতি ব্যাপকতাকে প্রতিরোধের সুযোগ করে দেয়।”
এছাড়া জাতিসংঘের দুর্নীতিবিরোধী কনভেনশনে বাংলাদেশ অংশ নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দৃঢ়তার সাথে দুর্নীতিবিরোধী অবস্থান গ্রহণ করছে বলে মনে করেন তিনি।
“এর ফলে দুর্নীতি বা অর্থপাচার সংক্রান্ত বিষয়ে বিভিন্ন রাষ্ট্র হতে এমএলএআরের মাধ্যমে বেশ কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির অর্থপাচার সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে।”