নতুন ২৩টি এজলাস-চেম্বার হবে সুপ্রিম কোর্টে

আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সুপ্রিম কোর্টে প্রায় দুই ডজন নতুন এজলাস কিংবা কোরটসহ চেম্বার করার কথা বলেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 June 2018, 02:20 PM
Updated : 7 June 2018, 02:41 PM

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে উপস্থাপিত বাজেট প্রস্তাবে আইন ও বিচার বিভাগের জন্য এক হাজার ৫২৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকা বরাদ্দের ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে তিনটি এবং হাই কোর্ট বিভাগে ২০টি নতুন এজলাস বা কোর্টসহ চেম্বার নির্মাণ অথবা সংস্কার করা হবে।

নতুন অর্থবছরে আইন ও বিচার বিভাগের জন্য যে বরাদ্দ প্রস্তাব তিনি করেছেন তার পরিচালন ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ৪২ কোটি ৮৯ লাখ টাকা; আর উন্নয়ন ব্যয় ৪৮০ কোটি ৭৪ টাকা।

চলতি বছরের বাজেটে আইন ও বিচার বিভাগের জন্য বরাদ্দ ধরা হয়েছিল এক হাজার ৪৮০ কোটি ৩০ লাখ টাকা।

সে হিসাবে নতুন অর্থবছরে বরাদ্দ ৪৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা বেশি।

এছাড়া চলতি অর্থবছরের চেয়ে নতুন বাজেটে সর্বোচ্চ আদালতের জন্য ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ বাড়িয়ে ১৮০ কোটি টাকার প্রস্তাব করেছেন মুহিত।

চলতি অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এই বরাদ্দ ছিল ১৬৫ কোটি টাকা। পরে সংশোধিত বাজেটে সর্বোচ্চ আদালতের জন্য বরাদ্দ তিন কোটি টাকা বাড়ানো হয়।

বৃহস্পতিবার বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী সর্বোচ্চ আদালতসহ বিচার বিভাগে তথ্যপ্রযুক্তিগত অগ্রগতি তুলে ধরে বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট ও দেশের অধঃস্তন আদালতসমূহের বিচার কার্যক্রম ও মামলা ব্যবস্থাপনায় তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে বিচারপ্রার্থীদের দুর্ভোগ কমানোর প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।

“বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে বিচারাধীন মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ, ধার্য তারিখ ও প্রাসঙ্গিক অন্যান্য তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে আপলোড করা হয়। এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের ৫টি স্থানে স্থাপিত ডিসপ্লে বোর্ড ও এসএমএসের মাধ্যমে জনগণের কাছে মামলার সর্বশেষ তথ্য পৌঁছে যাচ্ছে।”

সুপ্রিম কোর্টে জামিন সংক্রান্ত অনলাইন সেবা ‘বেইল কনফার্মেশন অন অনলাইন মেন্যুয়াল’র কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এর মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্ট হতে প্রদত্ত জামিন আদেশের তথ্য জানা যাচ্ছে। মামলা ব্যবস্থাপনায় আরও গতিশীলতা আনার লক্ষ্যে ই-জুডিশিয়ারি কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশের সকল আদালতকে আইসিটি নেটওয়ার্কের আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

“এছাড়া তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের অধীনে সংঘটিত অপরাধের দ্রুত ও কার্যকর বিচার নিশ্চিত করার জন্য ৭টি বিভাগীয় শহরে ৭টি সাইবার ট্রাইব্যুনাল গঠনের প্রক্রিয়া চলছে।”

এছাড়াও সুপ্রিম কোর্টের সম্প্রসারণের জন্য ১২ তলা ভবন, বিভিন্ন জেলায় রেজেস্ট্রি ও সাব রেজিস্ট্রি ভবন নির্মাণ ও ৬৪টি জেলা সদরে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন নির্মাণসহ আনুষঙ্গিক সুবিধা বাড়ানোর কথাও উল্লেখ করেন অর্থমন্ত্রী।