৫৬ বছর বয়সী মাসিহুজ্জামান এতদিন সহকারী বিমান বাহিনী প্রধানের (পরিচালন) দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। আগামী তিন বছরের জন্য বাংলাদেশের আকাশ প্রতিরক্ষার দায়িত্বে থাকা এ বাহিনীর নেতৃত্ব পাচ্ছেন তিনি।
তার এই নিয়োগ আগামী ১২ জুন থেকে কার্যকর হবে বলে সোমবার এক আদেশে জানিয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
বিমান বাহিনীর প্রধান পদে মাসিহুজ্জামান এয়ার চীফ মার্শাল আবু এসরারের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন। চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ায় আগামী ১২ জুন অবসরে যাবেন আবু এসরার।
বিমান বাহিনী প্রধান পদে এয়ার চীফ মার্শাল আবু এসরারের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ায় আগামী ১২ জুন থেকে তার এক বছরের অবসরোত্তর ছুটি (পিআরএল) মঞ্জুর করে অবসরে পাঠানোর বিষয়ে সোমবার আলাদা আদেশ জারি করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
ফ্লাইট ক্যাডেট হিসেবে ১৯৮০ সালের ১৬ মার্চ বিমান বাহিনী একাডেমিতে যোগ দিয়ে ১৯৮২ সালের ১৯ জুন কমিশন পান মাসিহুজ্জামান। মিগ-২৯ ফাইটার স্কোয়াড্রনের প্রথম কমান্ডার ছিলেন তিনি।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) তথ্য অনুযায়ী, ১৯৬২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি জন্ম নেওয়া মাসিহুজ্জামান রয়্যাল মালয়েশিয়ান আর্মড ফোর্সেস স্টাফ কলেজ ও চীনের ন্যাশনাল ডিফেন্স ইউনিভার্সিটি থেকে ডিগ্রি নিয়েছেন।
বিমান বাহিনীর বীর শ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ঘাঁটির অধিনায়ক ও বঙ্গবন্ধু ঘাঁটির এয়ার অধিনায়কসহ বিভিন্ন কমান্ড ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
পেশাগত জীবনে কর্মদক্ষতা ও কৃতিত্বের স্বীকৃতি হিসেবে মাসিহুজ্জামান ‘বিমান বাহিনী পদক’ ও ‘অসামান্য সেবা পদক’ পেয়েছেন।
ব্যক্তিগত জীবনে এয়ার ভাইস মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত দুই ছেলেমেয়ের বাবা।
সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য দুই বছর আগে করা নতুন বেতন কাঠামো অনুযায়ী সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর প্রধানরা মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও মুখ্য সচিবের সমান, অর্থাৎ মাসে ৮৬ হাজার টাকা বেতন (মূল) পান। সেই সঙ্গে সশস্ত্র বাহিনীর জন্য প্রযোজ্য বিভিন্ন ভাতা ও সুযোগ-সুবিধা পান তারা।