শনিবার অটোয়ায় এক ঘোষণায় তিনি জানান, জি-সেভেন শীর্ষ সম্মেলনের সঙ্গে বিশেষ যে আউটরিচ সেশনের আয়োজন করা হয়েছে, সেখানে কয়েকটি দেশের সরকারপ্রধান ও কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে কানাডা।
আগামী ৯ জুন অনুষ্ঠেয় ওই আউটরিচ বৈঠকের মূল প্রতিপাদ্য হবে সমুদ্রকে দূষণ থেকে রক্ষা করা এবং উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের প্রতিকূলতা মোকাবেলার সক্ষমতা বৃদ্ধি।
বিশ্ব অর্থনীতির সাত পরাশক্তির জোট জি-সেভেনের সম্মেলনের পাশাপাশি আঞ্চলিক উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক আগ্রগতির বিষয়ে আলোচনার জন্য জোটের বাইরে থেকে বিভিন্ন দেশকে আলাদা বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। একেই বলা হয় জি-সেভেন আউটরিচ মিটিং।
কানাডা ছাড়া জি-সেভেনের বাকি ছয় সদস্য দেশ হল ফ্রান্স, জার্মানি, জাপান, ইতালি, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র
জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের আমন্ত্রণে দুই বছর আগে ইসেশিমায় অনুষ্ঠিত জি-সেভেন সম্মেলনের আউটরিচ মিটিংয়েও যোগ দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা।
এবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও জি টোয়েন্টি জোটের বর্তমান সভাপতি আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট; ক্যারিবিয়ান কমিউনিটির চেয়ার হাইতির প্রেসিডেন্ট; জ্যামাইকার প্রধানমন্ত্রী; কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট; মার্শাল আইল্যান্ডসের প্রেসিডেন্ট; নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী; আফ্রিকান ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ার রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট; সেনেগালের প্রেসিডেন্ট; সেশেলসের প্রেসিডেন্ট; দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট; ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী; আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফ এর এমডি; অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (ওইসিডি) সেক্রেটারি জেনারেল; জাতিসংঘ মহাসচিব এবং বিশ্ব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে আউটরিচে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
তারা জি-সেভেন দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে বসবেন এবং উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের সুরক্ষায় করণীয় নিয়ে আলোচনা করবেন। সমুদ্রবিজ্ঞান নিয়ে নিজেদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের পাশাপাশি সমুদ্র সম্পদ ও মৎস্য আহরণের টেকসই ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার বিষয়েও তাদের মধ্যে আলোচনা হবে।
এছাড়া সমুদ্রে প্লাস্টিক দূষণ, অবৈধ ও অনিয়ন্ত্রিত মাছ ধরা বন্ধের মত চ্যালেঞ্জগুলোর উপরেও ওই বৈঠকে আলোকপাত করা হবে বলে কানাডা সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
ট্রুডো বলেন, “প্লাস্টিক দূষণ বেড়ে যাওয়া, আবহাওয়া বিরূপ হয়ে ওঠা এবং অবৈধ ও অনিয়ন্ত্রিত মৎস্য আহরণের কারণে আমাদের সমুদ্র ও উপকূল বিরাট ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
“ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির দেশগুলোতে উপকূলীয় বাসিন্দাদের টিকে থাকার সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং দূষণহীন সমুদ্র নিশ্চিত করা সবার জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সমুদ্রের সুরক্ষায় কাজ করতে এজন্যই আমরা প্রত্যেকের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
কুইবেকে আমন্ত্রিত বিশ্ব নেতৃবৃন্দ কানাডার গভর্নর জেনারেল জুলি পায়েটের দেওয়া এক ভোজসভায় যোগ নেবেন।
এ বছর জি-সেভেন সম্মেলনের সভাপতিত্ব করবে কানাডা। এর অংশ হিসেবে আগামী এক বছরের কর্মসূচি নির্ধারণ, লিডারস সামিট আয়োজন, মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকসহ নিয়মিত অনুষ্ঠানেগুলোর পরিকল্পনা ও আয়োজন করবে তারা।