সিলেট রাজশাহী ও বরিশালে ভোটের দিন ঠিক করতে বসছে ইসি

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সিলেট, রাজশাহী ও বরিশাল সিটি করপোরেশনে ভোটের তারিখ চূড়ান্ত করতে বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 May 2018, 02:18 PM
Updated : 27 May 2018, 02:50 PM

এ তিন সিটি নির্বাচনের বিষয়টি মঙ্গলবারের কমিশন সভার আলোচ্যসূচি রয়েছে।

নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মঙ্গলবার আমরা কমিশন সভায় সার্বিক তথ্য উপস্থাপন করব। ভোট কখন হবে, সেই সিদ্ধান্ত কমিশন নেবে।”

ইসির যুগ্মসচিব পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, “রমজানেই তফসিল ঘোষণার পরিকল্পনা থেকে কমিশন সভায় বিষয়টি উপস্থাপন করা হচ্ছে। জুলাইয়ের শেষভাগে নির্বাচনগুলো করতে হবে। অগাস্ট থেকে সংসদের প্রস্তুতি শুরু হবে।”

তিনি জানান, সার্বিক পর্যালোচনা করেই কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। রোজার পরে তফসিল দিলে কোনো অসুবিধা রয়েছে কিনা তাও দেখবে ইসি। স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মতি  থাকলেও সম্ভাব্য জটিলতা এড়ানোর জন্যে আগাম সতর্কতাও অবলম্বন করা হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে ৩৮-৪৫ দিন সময় দিয়ে ভোটের তারিখ ও তফসিল ঘোষণার সময় চূড়ান্ত করা হতে পারে মঙ্গলবারের সভায়।

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এইচএসসি পরীক্ষার পর জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ছুটির তালিকা কমিশন সভায় তোলা হবে।

সিলেট সিটিতে ভোট হয়েছে ২০১৩ সালের ১৫ জুন। প্রথম সভা হয় ২০১৩ সালের ৯ অক্টোবর। এ সিটির মেয়াদ পূর্ণ হবে আগামী ৮ অক্টোবর। এ সিটিতে ১১ এপ্রিল  নির্বাচনের দিন গণনা শুরু হয়েছে।

 

রাজশাহী সিটিতে ভোট হয়েছে ২০১৩ সালের ১৫ জুন। প্রথম সভা হয় ২০১৩ সালের ৬ অক্টোবর। এ সিটির মেয়াদ পূর্ণ হবে আগামী ৫ অক্টোবর। ৯ এপ্রিল নির্বাচনের দিন গণনা শুরু হবে।

 

বরিশাল সিটিতে ভোট হয়েছে ২০১৩ সালের ১৫ জুন। প্রথম সভা হয় ২০১৩ সালের ২৪ অক্টোবর। এ সিটির মেয়াদ পূর্ণ হবে আগামী ২৩ অক্টোবর। ২৭ এপ্রিল নির্বাচনের দিন গণনা শুরু হবে।

একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে পাঁচ সিটির ভোটের পরিকল্পনায় খুলনার নির্বাচন হয়েছে গত ১৫ মে। আর গাজীপুরের ভোট হবে ২৬ জুন।

বাকি তিন সিটি করপোরেশনের ভোট একদিনে করার পরিকল্পনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে ঈদের পরে জুলাইয়ে সুবিধাজনক সময়ে ভোট করবে ইসি।

এরমধ্যে সিলেট সিটি করপোরেশনের পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ হবে ৮ অক্টোবর, রাজশাহীর ৫ অক্টোবর ও বরিশালের ২৩ অক্টোবর।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা ইতোমধ্যে বলেছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আগামী জুলাইয়ের মধ্যে এসব সিটি করপোরেশনে নির্বাচন করা হবে। এ নিয়ে কমিশনের সভায় সিদ্ধান্ত হবে।

চলতি বছরের ডিসেম্বর অথবা আগামী জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে সংসদ নির্বাচন হবে বলে জানান তিনি।

তিন সিটি নির্বাচনের দিনই কুড়িগ্রাম-৩ আসনের উপ-নির্বাচনও হতে পারে। ১১ মে এ আসনের সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির এ কে এম মাইদুল ইসলাম মারা যান। ৭ অগাস্টের মধ্যে এ উপ-নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।