খুলনা, রাজশাহীতে আসছে মৃদু তাপপ্রবাহ

এপ্রিল-মে মাসের অধিকাংশ সময় কালবৈশাখী আর বজ্রঝড়ের পর কমে এসেছে বৃষ্টি; সেই সঙ্গে বাড়তে শুরু করেছে বাতাসের তাপমাত্রা।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 May 2018, 01:05 PM
Updated : 27 May 2018, 01:05 PM

রোববার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৩৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানীতে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অফিস বলছে, আগামী দুদিন সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে। সামান্য বাড়তে পারে রাতের তাপমাত্রাও। আর খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের কোথাও কোথাও মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।  

থার্মোমিটারের পারদ চড়তে চড়তে যদি ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠে, আবহাওয়াবিদরা তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলেন।

উষ্ণতা বেড়ে ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাকে বলা হয় মাঝারি তাপপ্রবাহ। আর তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেলে তাকে তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করে আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রোববার বৃষ্টি ছিল না কোথাও। এ জন্য তাপমাত্রাও বাড়ছে। আরও দুদিন তা অব্যাহত থাকতে পারে।”

তিনি বলেন, বাংলাদেশে সাধারণত মে মাসের শুরু থেকেই গরম থাকে। এবার তা একটু দেরিতে এসেছে।

“বেশ বজ্রবৃষ্টি ও ঝড়ের দাপট ছিল অনেক দিন। মাঝে কয়েক দিন বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকায় অস্বস্তিকর গরম অনুভূত হচ্ছিল। এখন মেঘমুক্ত আকাশে তাপ আর গরমের তীব্রতা বেড়েছে।”

রোববার আবহাওয়ার বুলেটিনে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এর একটি অংশ বিস্তৃত হয়েছে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত।

সোমবারের আবহওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের কোথাও কোথাও মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। তবে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধাণত শুষ্ক থাকতে পারে।

মে মাসের দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল- দেশের উত্তর ও উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে একটি তীব্র তাপপ্রবাহ (৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে) বয়ে যেতে পারে। অন্যত্র দুয়েকটি মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।