ঈদ সামনে রেখে রোববার সচিবালয়ে সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমি মনে করি, আমরা অল আউট যুদ্ধে নেমেছি। এ যুদ্ধে আমাদের জয়ী হতেই হবে।”
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চলতি মাসে মাদকবিরোধী অভিযান শুরুর পর প্রতি রাতেই বহু মানুষ কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হচ্ছে। ১৯ মে রাত থেকে গত নয় দিনেই মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৭৯ জনের।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেভাবে মাদক চোরাকারবারিদের দমন করছে- তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে হতাহতের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করছেন মানবাধিকারকর্মীরা। বন্দুকযুদ্ধ বা ক্রসফায়ারের এসব ঘটনাকে ‘বিচারবহির্ভূত হত্যা’ হিসেবে বর্ণনা করে তা বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছে তারা।
অন্যদিকে সরকারের তরফ থেকে বলা হচ্ছে, মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিয়ে এগোচ্ছে সরকার। মাদকের সঙ্গে যুক্ত কেউ ছাড় পাবে না, সে যেই হোক না কেন।
কতদিন এই অভিযান চলবে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “যে পর্যন্ত আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারব, সেই পর্যন্ত অভিযান চলবে। নির্দিষ্ট সময়-সীমা এটার মধ্যে নেই।”
তিনি বলেন, “আমরা সব ধরনের প্রচেষ্টা নেব। কোন চেষ্টাই ফাইনাল নয়। যা করলে আমরা মনে করি ভাল হবে, আমরা সেখানেই যাব।”
বৈঠকের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ঈদযাত্রার সময় সড়কে চাপ সহনীয় রাখতে ১২, ১৩ ও ১৪ জুন পোশাক কারখানার শ্রমিকদের পর্যায়ক্রমে ছুটি দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া ৭ জুনের মধ্যে বেতন এবং ১০ জুনের মধ্যে উৎসব ভাতা দিতে গার্মেন্ট মালিকদের অনুরোধ করা হয়েছে।
ঈদের আগে মহাসড়কে যানজট নিরসনে কাঁচপুর ও চন্দ্রায় পুলিশের কন্ট্রোলরুম থাকবে বলেও জানান তিনি।