বিশ্বভারতীতে ‘বাংলাদেশ ভবন’ উদ্বোধনে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বাংলাদেশ ভবনের’ উদ্বোধন হতে যাচ্ছে।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 May 2018, 02:10 PM
Updated : 22 May 2018, 02:19 PM

এ উপলক্ষে শুক্রবার দুই দিনের সফরে ভারতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন ও বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধনী অুনষ্ঠানে যোগ দেওয়া ছাড়াও আসানসোলে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ সমাবর্তনে অংশ নেবেন বলে তার প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানিয়েছেন।

বিশ্বভারতীর অনুষ্ঠানের ফাঁকেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে শেখ হাসিনার। ভারত সফরের সময় কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি ও নেতাজী যাদুঘর পরিদর্শন করবেন শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচি

শুক্রবার বাংলাদেশ বিমানের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে ঢাকা থেকে রওনা হয়ে কলকাতা পৌঁছাবেন শেখ হাসিনা।

সেখানকার নেতাজী সুবাস চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে বীরভূমের শান্তি নিকেতনে যাবেন।

শান্তিনিকেতনে বিশ্ব ভারতীর উপাচার্য অধ্যাপক সবুজ কলি সেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র ভবনে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনাকে অভ্যর্থনা জানাবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

সমাবর্তন অনুষ্ঠান শেষে বিশ্বভারতীতে বাংলাদেশ ভবনের ফলক উন্মোচন করবেন দুই প্রধানমন্ত্রী। এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেবেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য ও দুই প্রধানমন্ত্রী।

বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন শেষে দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।

বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে নির্মিত এই ভবনে রয়েছে ৪৫০ আসনের প্রেক্ষাগৃহ, যা বিশ্বভারতীতে থাকা প্রেক্ষগৃহগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড়।

বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ইতিহাসভিত্তিক সংগ্রহশালার পাশাপাশি ভবনটিতে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন বিষয়ের গ্রন্থের সংগ্রহ নিয়ে একটি পাঠাগারও তৈরি করা হয়েছে।

ভবনের প্রবেশদ্বারের দুই প্রান্তে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মুর‌্যাল স্থাপন করা হয়েছে।

বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠাতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সার্ধ-শত জন্মবার্ষিকীর উদযাপন ঘিরে শান্তিনিকেতনে বাংলাদেশ ভবন গড়ার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিশ্বভারতীর অনুষ্ঠান থেকে হেলিকপ্টারে কলকতায় ফিরে হোটেল তাজ বেঙ্গলে উঠবেন শেখ হাসিনা। ভারত সফরের সময় এই হোটেলেই অবস্থান করবেন তিনি।

বিকালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মস্থান কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি পরিদর্শন করার পর সন্ধ্যায় হোটেল তাজ বেঙ্গলে কলকাতার ব্যবসায়ী নেতারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।

পরদিন শনিবার সকালে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ সমাবর্তনে যোগ দিতে আসানসোল যাবেন শেখ হাসিনা। সমাবর্তনে শেখ হাসিনাকে সম্মানসূচক ডিলিট ডিগ্রি দেওয়া হবে।

কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বক্তৃতা দেবেন।

আসানসোল থেকে কলকতায় ফিরে বিকালে নেতাজী যাদুঘর পরিদর্শন করার পর শনিবার রাতে ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।

গত বছরের এপ্রিলে দিল্লি সফর করেন শেখ হাসিনা।