নির্ধারিত কক্ষপথে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট

উৎক্ষেপণের একাদশ দিনে মহাকাশের নির্ধারিত কক্ষপথে (১১৯.১ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অরবিটাল স্লট) পৌঁছেছে বাংলাদেশের প্রথম বাণিজ্যিক স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 May 2018, 01:21 PM
Updated : 22 May 2018, 01:43 PM

টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থার সহকারী পরিচালক (মিডিয়া উইং) জাকির হোসেন খান মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বাংলাদেশ সময় দুপুরের দিকে ‘বঙ্গবন্ধু-১’ তার নিজস্ব কক্ষপথে পৌঁছায়।

১০ দিনে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের প্রথম ধাপ সফলতার সাথে শেষ হয়েছে বলে সোমবার জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম।

মহাকাশের জিওস্টেশনারি ট্রান্সফার অরবিটে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট

তিনি সোমবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, “আগামীকাল মঙ্গলবার সকালের মধ্যে এটি নিজস্ব কক্ষপথে স্থাপিত হবে।”

গত ১২ মে ভোররাতে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে সফলভাবে উৎক্ষেপিত হয় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট।

স্যাটেলাইটের উৎক্ষেপণ প্রক্রিয়া মূলত দুটি ধাপে শেষ হয়। প্রথম ধাপটি হল ‘লঞ্চ অ্যান্ড আরলি অরবিট ফেইজ (এলইওপি)’ এবং দ্বিতীয় ধাপ হচ্ছে ‘স্যাটেলাইট ইন অরবিট’। এলইওপি ধাপে ১০ দিন লাগে। দ্বিতীয় ধাপে স্যাটেলাইটটি পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রায় ২০ দিন লাগে।

স্যাটেলাইটটি সম্পূর্ণ চালু হওয়ার পর এর নিয়ন্ত্রণ বাংলাদেশের গ্রাউন্ড স্টেশনে হস্তান্তর করা হবে।

দুই-একদিনের মধ্যেই বাংলাদেশের স্যাটেলাইট গ্রাউন্ড স্টেশন থেকে এর নিয়ন্ত্রণ শুরু করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন সাইফুল।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের গাজীপুর গ্রাউন্ড স্টেশন

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের গ্রাউন্ড স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর ও রাঙামাটির বেতবুনিয়ায়।

বিটিআরসির নেওয়া তিন হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্পের আওতায় ফরাসি প্রতিষ্ঠান তালিস এলিনিয়া স্পেস এই স্যাটেলাইট তৈরি করে, এর উৎক্ষেপণ হয় যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি মহাকাশ গবেষণা সংস্থা স্পেসএক্সের মাধ্যমে।

সরকারের আশা, বর্তমানে বিদেশি স্যাটেলাইটের ভাড়া বাবদ যে ১৪ মিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়, এ উপগ্রহের মাধ্যমে সেই অর্থ সাশ্রয় হবে।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটে ৪০টি ট্রান্সপন্ডার রয়েছে, যার ২০টি বাংলাদেশের ব্যবহারের জন্য রাখা হবে এবং বাকিগুলো ভাড়া দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের পরিকল্পনা রয়েছে।