পাশাপাশি ঢাকার সব খাল, ডোবা-নালা, জলাধার ঘিরে নিরাপত্তা বেষ্টনি তৈরি করতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা তিন মাসের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে।
জনস্বার্থে করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের হাই কোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার অন্তর্বর্তী আদেশসহ এ রুল দিয়েছে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, রাজউক, রাজউকের চেয়ারম্যান, ঢাকা জেলা প্রশাসক, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, ওয়াসাসহ সংশ্লিষ্ট আট বিবাদীকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত ৯ মার্চ সন্ধ্যায় খেলার সময় নবোদয় হাউজিংয়ের পাশের খালে ডুবে যায় জিসান। পরে তার মৃতদেহ উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
এই শিশুর মৃত্যুরে পর চিলড্রেন চ্যারিটি বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবদুল হালিম হাই কোর্টে রিট আবেদনটি করেন।
হালিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আদালত রুল জারির পাশাপাশি মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ী ঢাকার সব খাল, ডোবা-নালা, জলাধারের তালিকা করে এসব ঘিরে নিরাপত্তা বেষ্টনি তৈরি করতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং কী পদক্ষেপ নেবে, সে বিষয়ে তিন মাসের মধ্যে রাজউক, ওয়াসা, ঢাকার জেলা প্রশাসক ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনকে প্রতিবেদন দিতে বলেছে।
তিনি বলেন, “১৯৫৩ সালের নগর উন্নয়ন আইনেই বিধান আছে, অবকাঠামোগত দিক থেকে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। কিন্তু গত ৬৫ বছরেও ঢাকার খাল, জলাধার, ডোবা-নালাগুলো অরক্ষিত। এতটাই অরক্ষিত যে, যে কোনো সময় যে কেউ মারাত্মক দুর্ঘটনায় পড়তে পারে, প্রাণহানি ঘটতে পারে।”
জিসানের বাবার হাসু মিয়া নবোদয় হাউজিংয়ের ৮ নম্বর সড়কের ১০ নম্বর বাড়িতে ভাড়া থাকেন। খেলার সময় খালে বল পড়ে গেলে তা তুলতে গিয়ে ডুবে গিয়েছিল জিসান।