সোমবার দুই সহকারী পরিচালককে বরখাস্তের আদেশ হয় কমিশন থেকে; তাদের একজন এস এম শামীম ইকবাল ঢাকা কার্যালয়ে কর্মরত ছিলেন; অন্যজন বীর কান্ত রায় ছিলেন দিনাজপুর সমন্বিত কার্যালয়ে কর্মরত।
বীর কান্তকে সাময়িক এবং শামীম ইকবালকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী।
দিনাজপুরে কর্মরত বীর কান্তের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলায় আসামির সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগ ওঠার কথা বলা হয় বরখাস্তের আদেশে।
এতে বলা হয়, “বীর কান্ত রায় একটি ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতির মামলার তদন্তে এক বছরের বেশি সময় নিয়েছেন। দুদকের বিভাগীয় তদন্তে প্রমাণিত হয় যে, বীর কান্ত রায় কোনো না কোনোভাবে আসামি দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তদন্ত কাজে বিলম্ব করেছেন। এই অপরাধে তাকে সোমবার চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে আদেশ দেওয়া হয়।”
আদেশে বলা হয়, “একটি দুর্নীতির মামলায় এক বছরের বেশি সময় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল না করে নিজের কাছে রেখে দেন। এই বিষয়ে দুদকের বিভাগীয় তদন্তে তার বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা ও অসদাচরণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় রোববার তাকে দুদকের চাকরি থেকে চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত করা হয়।”
শামীম অবসরের কোনো সুবিধা পাবেন না বলেও আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
দুদকের ডিজি মুনীর বলেন, “দুদক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যাতে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারে জড়িয়ে না যায়, তা নিশ্চিত করতে এই ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
ভবিষ্যতে এই ধরনের ক্ষেত্রে দুদক আরও কঠোর হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।