মন্ত্রী-সচিবরা পাবেন ৭৫০০০ টাকার মোবাইল

মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী এবং সচিবদের জন্য সরকারি খরচে মোবাইল কেনার অর্থের পরিমাণ পাঁচগুণ বাড়িয়ে ৭৫ হাজার টাকা করা হয়েছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 May 2018, 07:58 AM
Updated : 21 May 2018, 12:06 PM

সচিব, উপমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের সেই মোবাইল বিলও পরিশোধ করা হবে সরকারি কোষাগার থেকে।

এসব বিধান যুক্ত করে ‘সরকারি টেলিফোন, সেলুলার, ফ্যাক্স ও ইন্টারনেট নীতিমালা ২০১৮’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সচিবালয়ে এ বিষয়ে ব্রিফ করেন।

তিনি বলেন, এ ধরনের একটি নীতিমালা আগেও ছিল, ২০০৪ সালে তা সমন্বিতভাবে করা হয়। ২০১৭ সালে নতুন একটি খসড়া তৈরি হয়, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সেটাই এখন চূড়ান্ত করা হল।

“আগের নীতিমালায় মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী ও সচিবদের মোবাইল কেনার জন্য ১৫ হাজার টাকা বরাদ্দ ছিল। এবার তা বাড়িয়ে এককালিন ৭৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। বর্তমান বাজারদরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই এটা বাড়ানো হয়েছে।”

২০১০ সালের ২৪ জুন এ সংক্রান্ত নীতিমালা সংশোধন করে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী এবং সচিবদের মোবাইল ফোন কেনার জন্য ১৫ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “মানসম্মত অ্যান্ড্রয়েড ফোন ৭৫ হাজারের কম হলে পাওয়া যায় না, এজন্য এটাকে ৭৫ হাজার টাকা করা হয়েছে।”

তিনি জানান, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, সচিবদের জন্য মোবাইল বিল নির্ধারণ করে দেওয়া নেই। পোস্টপেইড সিমে যা বিল আসবে, তাই দেওয়া হবে।

অতিরিক্ত সচিব ও যুগ্ম-সচিবরা মোবাইল ফোন পান না জানিয়ে শফিউল বলেন, এখন থেকে তারা মাসে দেড় হাজার টাকা করে মোবাইল ভাতা পাবেন। এই দুই শ্রেণির কর্মকর্তরা এতদিন মাসে ৬০০ টাকা করে মোবাইল ভাতা পেতেন।

সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরদের টেলিফোন ব্যবহার এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাষ্ট্রাচার প্রধানের জন্য আন্তর্জাতিক রোমিং সুবিধা যুক্ত করে তাকেও এ নীতিমালায় যুক্ত করতে মন্ত্রিসভা অনুশাসন দিয়েছে বলে জানান শফিউল।

তিনি বলেন, “নতুন নীতমালায় শুধু টাকার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য বিষয় আগের মতই রাখা হয়েছে।”

হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট আইন

১৯৭৭ সালের হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট অধ্যাদেশ বদলে নতুন করে হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট আইন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

নতুন এই আইনের খসড়ায় মন্ত্রিসভা চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে জানিয়ে শফিউল বলেন, যেহেতু সামরিক শাসনামলে তৈরি হয়েছিল, সেজন্য উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী সেটি প্রতিস্থাপন করতে নতুন আইন করা হচ্ছে।

“তেমন বড় কোনো পরিবর্তন নেই, শুধু কমিটি গঠনের বিষয়ে পরিবর্তন আনা হয়েছে। ইংরেজি আইনটি বাংলায় রূপান্তর করা হয়েছে।”

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইনস্টিটিউট পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান হবেন জানিয়ে শফিউল বলেন, ওই মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রী থাকলে তিনি হবেন পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান। আর প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রী না থাকলে সচিব হবে ভাইস চেয়ারম্যান।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী তিনজনই থাকলে সচিব ওই পরিষদের সদস্য হবেন।

এ পরিষদে ২০ ক্যাটাগরির সদস্য থাকবেন জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, পরিষদকে বছরে কমপক্ষে দুইবার সভা করতে হবে। অর্ধেকের বেশি সদস্য উপস্থিত থাকলে কোরাম হবে। সিদ্ধান্ত হবে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে।

আগের মতই ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক নির্বাহী কমিটির সভাপতি থাকবেন বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।