ভোট ডাকাতির অভিযোগ মঞ্জুর মিথ্যাচার: খালেক

খুলনা সিটি নির্বাচনে ‘ভোট ডাকাতি’ হয়েছে বলে বিএনপির পরাজিত মেয়রপ্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু যে অভিযোগ করেছেন তাকে মিথ্যাচার বলেছেন বিজয়ী আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক।

খুলনা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 May 2018, 10:59 AM
Updated : 16 May 2018, 10:59 AM

ভোটে হেরে বিএনপি এখন ‘আবোল-তাবোল’ বকছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

মঙ্গলবারের ভোটে জিতে পাঁচ বছর পর খুলনার মেয়র পদে ফেরা তালুকদার খালেক বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।

এর আগে সংবাদ সম্মেলন করে মঞ্জু খুলনায় ভোট ডাকাতির অভিযোগ তোলেন ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে।  

২৮৬ কেন্দ্রের ঘোষিত ফল অনুযায়ী, নৌকা প্রতীকে আবদুল খালেক পেয়েছেন ১ লাখ ৭৪ হাজার ৮৯১ ভোট। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির নজরুল ইসলাম মঞ্জু ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ১ লাখ ৯ হাজার ২৫১ ভোট।

প্রায় ৫ লাখ ভোটারের এই সিটি করপোরেশনে মোট কেন্দ্র ছিল ২৮৯টি; অনিয়মের কারণে তিনটি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত হয়। এই তিনটি কেন্দ্রে সর্বমোট ভোট ৫ হাজারের কিছু বেশি।

ভোটের পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মঞ্জু অন্তত একশ কেন্দ্রে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তুলে সেসব কেন্দ্রের ফল বাতিল করে পুনরায় নির্বাচন দেওয়ার দাবি তোলেন।

এ প্রসঙ্গে তালুকদার খালেক বলেন, “আমি শুনেছি তিনটি কেন্দ্রে কিছু সমস্যা হয়েছে, সেই তিনটি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করা হয়েছে।

“তাই বলে একশত কেন্দ্রে আবার ভোট গ্রহণ করতে হবে এমন দাবি কেউ মেনে নেবে না। আগামী জাতীয় নির্বাচন ও নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই তিনি এমন দাবি করেছেন।”

তিনি আরো বলেন, “নির্বাচনে যদি তারা জয় লাভ করত তাহলে নির্বাচন ঠিক হত আর এখন পরাজয় মেনে নিতে না পেরে তারা আবোল-তাবোল বকতে শুরু করেছে। কিন্তু ২০১৩ সালের নির্বাচনে আমি তো পরাজিত হয়েছিলাম। কিন্তু কোনো কথা বলিনি।”

আওয়ামী লীগ বহিরাগতদের এনে কেন্দ্র দখল করেছে মঞ্জুর এ অভিযোগের জবাবে খালেক বলেন, “২০০১ সালে নজরুল ইসলাম মঞ্জুর সাথে চরমপন্থীদের সখ্যতা ছিল। তারাই নির্বাচনে তাদের ব্যবহার করেছে। কিন্তু তারা যখন চরমপন্থীদের সামলাতে পারেনি তখন আইন করে তাদের ধরে ক্রসফায়ারে দিয়েছে। আমরা সন্ত্রাসী ও চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করব।”

খুলনা প্রেস ক্লাবের লিয়াকত আলী মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে খালেক তার ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনাও জানান।

তিনি বলেন, “খুলনা মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনের কাজ যেখানে রেখে আমি মেয়র পদ ছেড়েছিলাম সেখান থেকেই আবার কাজ শুরু করব। একই সাথে সততা, নিষ্ঠার সাথে কাজ করে দুর্নীতিমুক্ত খুলনা সিটি করপোরেশন উপহার দেব।”

খুলনা মহানগরীকে মাদকমুক্ত করতে সব প্রচেষ্টা চালানোর অঙ্গিকারও কয়েকবারের সংসদ সদস্য ও একবারের প্রতিমন্ত্রী খালেক।

খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশিদ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা এসএম কামাল হোসেন, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাংসদ মিজানুর রহমান মিজান, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক শেখ সোহেল প্রমুখ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনের পরে তালুকদার আব্দুল খালেক নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রেস ক্লাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।