এই দুই কেন্দ্রের ফলাফলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী খালেক পেয়েছেন মোট ৭৭৭ ভোট। আর বিএনপির প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু ৭১০ ভোট পেয়েছেন।
অর্থাৎ, দুই কেন্দ্রের বিচারে সাংসদ পদ ছেড়ে মেয়র পদে ভোটের লড়াইয়ে আসা আওয়ামী লীগ নেতা খালেক এগিয়ে আছেন ৬৭ ভোটে।
চার লাখ ৯৩ হাজার ৯৩ জন ভোটারের শহর খুলনায় এবার ভোট হয়েছে ২৮৯ কেন্দ্রে। এর মধ্যে সোনাপোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পিটিআইয়ের জসিম উদ্দিন হোস্টেলের অস্থায়ী কেন্দ্রে ভোট নেওয়া হয়েছ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএমে।
যন্ত্রে ভোট হওয়ায় এ দুই কেন্দ্রে গণনার ঝমেলা ছিল না। নিয়ম মাফিক সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে আধা ঘণ্টার মধ্যেই ফলাফল প্রকাশ করেন দুই প্রিজাইডিং কর্মকর্তা।
সোনাপোতা প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মামুনুর রশিদ জানান, তার কেন্দ্রে ১০৯৯ জন ভোটারের মধ্যে ৫২২ জন ভোট দিয়েছেন।
এর মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেকের নৌকা প্রতীক পেয়েছে সর্বোচ্চ ২৭২ ভোট। এ কেন্দ্রে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জুর ধানের শীষ প্রতীক পেয়েছে ১৯৯ ভোট।
মেয়র পদের বাকি তিন প্রার্থীর মধ্যে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এস এম শফিকুর রহমান লাঙ্গল প্রতীকে ১৩ ভোট; সিপিবির প্রার্থী মিজানুর রহমান বাবু কাস্তে প্রতীকে ৪ ভোট এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুজ্জাম্মিল হক হাতপাখা প্রতীকে ৩২ ভোট পেয়েছেন।
পিটিআইয়ের জসিম উদ্দিন হোস্টেলের অস্থায়ী কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মামুন সরদার জানান, তার কেন্দ্রে ১৮৭৯ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১০৯৫ জন।
এ কেন্দ্রে মঞ্জুর ধানের শীষ প্রতীক পেয়েছে ৫১১ ভোট। এ কেন্দ্রে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী খালেকের নৌকা পেয়েছে ৫০৫ ভোট।
এছাড়া লাঙ্গল ১১ ভোট; কাস্তে ৭ ভোট এবং হাতপাখা প্রতীকে ৪৩ ভোট পেয়েছেন এ কেন্দ্রে।
এ নির্বাচনে সার্বিকভাবে কত ভোট পড়েছে- সে তথ্য নির্বাচন কমিশন এখনও জানায়নি। তবে ইভিএমের কেন্দ্রের ফলাফল অনুযায়ী সোনাপোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৪৭ শতাংশ এবং জসিম উদ্দিন হোস্টেলের অস্থায়ী কেন্দ্রে ৫৮ শতাংশ ভোট পড়েছে।
প্রিজাইডিং কর্মকর্তারা জানান, ইভিএমের প্রথম কেন্দ্রে ২ জন ভোটার কাউন্সিলর পদে ভোট দিলেও মেয়র পদে ভোট দেননি। দ্বিতীয় কেন্দ্রেও এমন ২২ জন ভোটার রয়েছেন; যারা শুধু কাউন্সিলর পদে ভোট দিয়েছেন।