জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী খালেক ‘মেনে নেবেন’ যে কোনো ফল

খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে জয় পাওয়ার আশার কথা জানিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক বলেছেন, ফল যাই হোক, মেনে নিতে তিনি প্রস্তুত।

নিজস্ব প্রতিবেদকও খুলনা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 May 2018, 03:21 AM
Updated : 15 May 2018, 04:17 AM

তিনি বলেছেন, “২০১৩ সালে আমি প্রার্থী ছিলাম, আমার দল ক্ষমতায় ছিল, এর মধ্যেও আমি হেরেছি। সে সময় যদি মেনে নিতে পারি, এখনও যে কোনো পরিস্থিতি মেনে নিতে পারব।”

মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে খুলনা সিটি করপোরেশনের ২৮৯টি ভোট কেন্দ্রে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোট শুরুর পরপরই নিজের ভোট দিতে নগরীর সাউথ সেন্ট্রাল রোডে পাইওনিয়ার মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে হাজির হন নৌকার প্রার্থী খালেক।

খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আবদুল খালেক মুন্সীপাড়া তৃতীয় গলির বাসা থেকে রিকশায় করে কেন্দ্রে আসেন। প্রিজাইডিং কর্মকর্তার কাছ থেকে ব্যালট নিয়ে উপস্থিত সংবাদকর্মীদের তিনি তা প্রদর্শন করেন। পরে গোপন বুথে গিয়ে ভোট দিয়ে সবার সামনে এসে বাক্সে ফেলেন।

ভোট দেওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “উন্নয়নের জন্য খুলনার মানুষ ঐক্যবদ্ধ। উন্নয়নের জন্য খুলনাবাসী নৌকায় ভোট দেবে এবং নৌকার জয় হবে।”

২০০৮ সাল থেকে পাঁচ বছর খুলনার মেয়রের দায়িত্ব পালন করা খালেক ২০১৩ সালের নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মনিরুজ্জামান মনির কাছে হেরে যান। সাবেক মন্ত্রী খালেক এবার সংসদ সদস্য পদ ছেড়ে মেয়র পদে নৌকার প্রার্থী হয়েছেন।

আর বিএনপির প্রাতীক ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন নজরুল ইসলাম মঞ্জু। এছাড়া লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির এস এম শফিকুর রহমান মুশফিক, কাস্তে প্রতীকে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) মিজানুর রহমান বাবু এবং হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুজ্জাম্মিল হক মেয়র পদে লড়ছেন।

এ নির্বাচনকে তার নিজের জন্যও ‘গুরুত্বপূর্ণ’ হিসেবে বর্ণনা করে খালেক বলেন, “এবার সংসদ সদস্য পদ ছেড়ে দিয়েই আমি এসেছি। আমার দল আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে। আমি যেন আপনাদের সেবা করতে পারি সে সুযোগ দেবেন।”

বিএনপির প্রার্থী তার এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে যে অভিযোগ করেছেন- তা প্রত্যাখ্যান করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বলেন, “নির্বাচন তো এখনও শুরুই হয়নি। এই সময়ে এজেন্ট বের করে দেওয়ার অভিযোগ কি করে করে?”

তিনি বলেন, “সেখানে যদি তাদের সংগঠন দুর্বল থাকে, এজেন্ট যদি না থাকে, তাহলে আমাদের কি করার আছে!”

ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করছে- এমন অভিযোগও প্রত্যাখ্যান করেন তালুকদার আবদুল খালেক। 

“আমি নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছি, পরিবেশ ধরে রাখার জন্য যাতে তারা চেষ্টা করে। ভোটারদের যাতে কোনো অহেতুক চাপ প্রয়োগ না করে।”

ভোট ‘২০১৩ সালের মতই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ’ হবে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আশঙ্কা তৈরি হওয়ার মত কোনো পরিস্থিত তিনি দেখেননি।